পদ্মা সেতু দিয়ে আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল, উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে নতুন এক রেলযুগে প্রবেশ করছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। এ উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে।
পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পটি ২০১৬ সালের ৩ মে অনুমোদন করা হয়। ১৭২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে খরচ হচ্ছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণ সহায়তা দেবে ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। বাকি ১৮ হাজার ২১০ কোটি ১১ টাকা ব্যয় হবে সরকারি তহবিল থেকে। ঢাকা থেকে মাওয়া, এরপর পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে যশোর গিয়ে শেষ হবে।
এখন পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮৩ শতাংশ। তবে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রকল্পের ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এরইমধ্যে সেপ্টেম্বরে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে চলেছে ট্রেন।
পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল নিয়ে নানা স্বপ্ন বুনছেন শরীয়তপুর জাজিরার মানুষ। তারা মনে করছেন, এই সংযোগ মানুষের জীবন যাত্রা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে আসবে বড় ধরনের পরিবর্তন। নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্প খাতে।
বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপকার হবে। অল্প খরচে যাতায়াত করতে পারবেন। প্রতিদিন দুই ঘণ্টা পর পর ট্রেনের যাতায়াত ব্যবস্থা থাকলে তারা বেশি উপকৃত হবে বলে মনে করছেন।
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানান, উদ্বোধনের এক সপ্তাহ পর থেকে চালু হবে ট্রেন।এছাড়া ঢাকা থেকে একটি করে ট্রেন পদ্মা সেতু হয়ে খুলনা রাজশাহী বেনাপোল যাবে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ শামসুল হক বলেন, যদি সেবার মান ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল বৃদ্ধি করা যায় এর সুফল পাবে সবাই। তবে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণসহ পদ্মা সেতু রেল সংযোগের পুরো প্রকল্পের কাজ ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে।
খুলনা গেজেট/এইচ