বাগেরহাটের মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মাদ মুসা বলেছেন, পদ্মাসেতু চালু হলে মোংলা হবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক হাব। রাজধানীর সাথে সড়ক যোগাযোগ যেমন বৃদ্ধি পাবে। সেই সাথে এই এলাকার শিল্প কলকারখানা ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। সার্বিকভাবে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের সিংহ ভাগই মোংলা থেকে পরিচালিত হবে।
পদ্মাসেতু চালু হলে মোংলা বন্দরের কি পরিবর্তন হবে ? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
বন্দর চেয়ারম্যান আরও বলেন, পদ্মাসেতু চালু হলে মোংলাবন্দর থেকে আমদানি-রপ্তানি বহুগুনে বৃদ্ধি পাবে। সেই লক্ষে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে। এজন্য মোংলা বন্দরের জন্য একটি আপগ্রেডেশন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। নতুন জেটি নির্মাণ চলমান রয়েছে। মোংলা বন্দর ব্যবহারকারীদের সুপেয় পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে চার লক্ষ লিটার উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে। দেশী-বিদেশী জাহাজের নিরাপত্তায় ভিটিআইএমএস পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। সব মিলিয়ে পদ্মাসেতুকে কেন্দ্র করে আমরা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি। পদ্মা সেতুর সাথে তাল মিলিয়ে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য আরও পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কার্গো-কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সহজ ও জট মুক্ত করতে আরো ৭৫ টি বিভিন্ন ধরনের কার্গো-কন্টেইনার হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হয়েছে। যা এখন মোট ১৩৯ টি হয়েছে। মোংলা বন্দর এখন গিয়ারলেস কন্টেইনার জাহাজ হ্যান্ডলিং এ সম্পৃর্ন প্রস্তুত। প্রায় ৫ হাজার বর্গ- মিটারের একটি নতুন ষ্টাফিং ও আন ষ্টাফিং সেড প্রস্তুুত করা হযেছে। মোট জেটি এলাকায় প্রায় ৩ লাখ বর্গ মিটার ধরে কার্গো-কন্টেইনার ও গাড়ী হ্যান্ডলিংয়ের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বন্দরের মোট ৮ টি ইয়ার্ড রয়েছে। যার মধ্যে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর জন্য ৬টি ও কার হ্যান্ডলিং এর জন্য ২টি প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৬টি ইয়ার্ডে ৬ হাজার কন্টেইনার ও ২টি কার ইয়ার্ডে সাড়ে ৪ হাজার গাড়ী রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ফ্রোজেন কার্গো রাখার জন্য ১৬২ টি রেফার ফ্লাট পয়েন্টসহ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা রয়েছে এ মোংলা বন্দরে।
এছাড়া মোংলা ইপিজেড, মোংলা অর্থনৈতিক অঞ্চলের সাথে বেসরকারি সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে বিপুল পরিমাণ কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে এই এলাকায়। যার ফলে এই এলাকার মানুষ আর্থিকভাবে লাভবান হবে বলে জানান বন্দরের এই শীর্ষ কর্মকর্তা।
খুলনা গেজেট/ এস আই