পদ্মাসেতু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের একটি স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন বাস্তাবায়ন হবে আগামী ২৫ জুন। ওইদিন সকাল ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা বহুমুখী সেতুর উদ্বোধন করবেন। এরপরই যানবাহন চলাচলের জন্য পদ্মা সেতুর দ্বার উন্মুক্ত করা হবে।
পদ্মাসেতু নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের আশা, আকাঙ্খা ও প্রত্যাশা পূরণে বিষয় তুলে ধরে খুলনা গেজেটকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ জামান।
তিনি বলেছেন, পদ্মাসেতু বাংলাদেশের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা সড়কপথে হয়ে গেল, মাঝখানে আর কোন বিভক্তি নেই। ঝুঁকি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যুগান্তকারী এই পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করেছেন, এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। ২১ জেলা নয়, পদ্মাসেতুতে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের এই অঞ্চলে পদ্মাসেতু নিয়ে অর্থনৈতিকভাবে যদি ভাবতে চাই, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আরও যে বিষয়গুলো আছে এগুলো যদি আরও উন্নত করা যায় তাহলে অর্থনৈতিক গুরুত্ব অনেক। এই অঞ্চলে নতুন নতুন শিল্প কলকারখানা স্থাপন, মোংলা বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করলে আরও কর্মযজ্ঞ বাড়বে। ফলে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে।
নাগরিক এই নেতা বলেন, পদ্মাসেতু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের যৌক্তিক দাবি ছিল। এটি হওয়ায় মানুষের যে চাওয়া-পাওয়া ছিল, সে প্রত্যাশা পূরণ হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ডিসেম্বরে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নম্বর খুঁটিতে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হতে শুরু করে পদ্মা সেতুর কাঠামো। এরপর একে একে ৪২টি পিলারে বসানো হয় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্প্যান। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হয় ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর। আগামী ২৫ জুন স্বপ্নের পদ্মাসেতুর উদ্বোধন করা হবে।
খুলনা গেজেট/ আ হ আ