আবহাওয়াসহ সবকিছু অনুকূলে থাকায় পদ্মাসেতুর ৩৪ তম স্প্যান বসানো হয়েছে। সেতুর ৭ ও ৮ নম্বর পিলারের উপর স্প্যানটি বসানো হয়েছে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে। এর ফলে দৃশ্যমান হয়েছে পদ্মা সেতুর ৫ হাজার ১০০ মিটার। পুরো সেতুতে এখন বাকি থাকলো সাতটি স্প্যান বসানো। আর দৃশ্যমান হওয়া বাকি এক হাজার ৫০ মিটার।
৩৩তম স্প্যান বসানোর ষষ্ঠদিনের মাথায় বসানো হলো এ স্প্যানটি। রোববার সকাল ১০টা ৭ মিনিটের দিকে স্প্যান বসানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আবদুল কাদের।
এর আগে শনিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের মাওয়ায় অবস্থিত কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডের স্টিল ট্রাস জেটি থেকে স্প্যানটি বহন করে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই রওয়ানা দেয়। প্রায় ৩০ মিনিট পর কাঙ্ক্ষিত পিলারের কাছে পৌঁছে ৩ হাজার ৬শ টন সক্ষমতার ক্রেনটি। সেখানে সারারাত অবস্থান করে। রোববার সকালে ভাসমান ক্রেনটি নোঙর ও পজিশনিং শেষে পিলারের ওপর রাখা হয় স্প্যানটিকে।
প্রকৌশলীরা জানান, স্প্যান বসানোর জন্য দু’দিন সময় নেওয়া হয়। প্রথমদিন বৈরী আবহাওয়ার জন্য পিলারের উপর বসানো যায়নি। কিন্তু পরদিন অনুকূল আবহাওয়া থাকায় দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের চেষ্টায় সফলভাবে বসানো সম্ভব হয়।
অন্যদিকে, পদ্মাসেতুতে বাকি থাকবে ৭টি স্প্যান বসানো। ৩০ অক্টোবর পিয়ার ৮ ও ৯ নম্বরের উপর ৩৫তম স্প্যান (স্প্যান ২-বি), ৪ নভেম্বর পিয়ার ২ ও ৩ নম্বরে ৩৬তম স্প্যান (স্প্যান ১-বি), ১১ নভেম্বর পিয়ার ৯ ও ১০ নম্বরে ৩৭তম স্প্যান (স্প্যান ২-সি), ১৬ নভেম্বর পিয়ার ১ ও ২ নম্বরে ৩৮তম স্প্যান ( স্প্যান ১-এ), ২৩ নভেম্বর পিয়ার ১০ ও ১১ নম্বরে ৩৯তম স্প্যান ( স্প্যান ২-ডি), ২ ডিসেম্বর পিয়ার ১১ ও ১২ নম্বরে ৪০তম স্প্যান (স্প্যান ২-ই) ও ১০ ডিসেম্বর সবশেষ ৪১ নম্বর স্প্যান ( স্প্যান ২-এফ) বসবে ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারের উপর।
মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
খুলনা গেজেট/এনএম