চলতি বছরেই বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা। মঙ্গলবার রাজশাহীর নাইস কমিউনিটি সেন্টারের সামনে আয়োজিত সমাবেশ এ দাবি জানান তারা।
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে রাজশাহী মহানগর ও জেলা বিএনপি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরীর প্রতিটি মোড়ে মোড়ে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এদিন সকাল থেকে নগরীর আম চত্ত্বর, কাঠাখালী, সাহেব বাজার, ফায়ার সার্ভিস মোড়, ভোজ পাড়া মোড়, সদর হাসপাতাল মোড়, সিএমবি মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তল্লাশি চালাতে দেখা গেছে। তবে শত বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে আসেন নেতাকর্মীরা। মঙ্গলবার বিকাল তিনটায় সমাবেশ শুরু হলেও দুপুরের পর নগরীর নাইস কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় লোকে লোকারন্য হয়ে যায়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আজকে সমাবেশে আসার সময় বেশ কয়েকবার আমার গাড়ি বহরে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
এ জন্য কি আমরা যুদ্ধ করছিলাম? পুলিশ বাহিনীকে বলতে চাই, আপনারা যা করছেন সেটা আপনাদের নামের সঙ্গে মানায় না। আমি আপনাদের বলি, আপনারা আমাদের ভাই। তাই আপনারা আপনাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করুন।
তিনি বলেন, বাঙ্গালী হচ্ছে বীরের জাতি। বাঙ্গালি কখনো কারো কাছে মাথা নত করবে না। আমরা এই স্বৈরাচার সরকারের কাছে মাথা নত করবো না। এই অবৈধ সরকারকে হটাতে হলে রাজপথের আন্দোলনের বিকল্প নেই। তাই সকলকে প্রস্তুত হতে হবে। সবাই আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত হোন।
সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমরা এই অবৈধ সরকারকে বলতে চাই, সময় থাকতে পদত্যাগ করুন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। নয়তো জনগণ আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাদের ক্ষমতা থেকে নামাতে বাধ্য হবে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ বলেন, রাজশাহীর সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার সব বন্ধ করে দেয়াতে মানুষ চিকিৎসার জন্য হাসপাতালেও যেতে পারছে না। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না। আর এই সরকারকে সময় দেয়া যাবে না। আমাদের নেতা তারেক রহমান যেদিন বলবে সেইদিন সংসদ থেকে পদত্যাগ করে সরকার পতনের জন্য যা যা লাগে তাই নিয়ে যুদ্ধ শুরু করবো।
খুলনা সিটি করপোরেশনের বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, ভোট ডাকাতির চিত্র তুলে ধরতে ৬ সিটিতে সমাবেশ করছে জনতার মেয়ররা। সমাবেশের অনুমতি দিলেও পথে পথে বাথা বাধা দিচ্ছে পুলিশ। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে পরিবহন, হোটেল মোটেলও। বিএনপি কারচুপির নির্বাচনে আর যাবেন না বলে যে ঘোষণা দেয়া হয়েছে তা সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর শেখ হাসিনা সরকারের পতনও হবে সে বিষয়টি মাথায় রেখে পুলিশকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/কেএম