পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবনে এক গভীর অন্ধকার নেমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রোববার বিকালে এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
‘রোববার বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভুঁইয়ার জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ এবং শনিবার শান্তিপূর্ণভাবে বিএনপির লিফলেট বিতরণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে’ এ বিবৃতি দেন ফখরুল।
তিনি বলেন, রোজার প্রাক্কালে বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি, সুপেয় পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির লাগামহীন চড়ামূল্যে যখন মানুষ চোখে সরষে ফুল দেখছে তখন অবৈধ আওয়ামী সরকার বিএনপিসহ বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে নিত্য নতুন মিথ্যা মামলায় আটকের হিড়িক অব্যাহত রেখেছে। পণ্যের মূল্য অত্যধিক বৃদ্ধিতে জনজীবনে নেমে এসেছে এক গভীর অন্ধকার। প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ জাতীয় পর্যায়ে ক্ষমতাসীনদের দৌরাত্ম্য এবং দাপটে মানুষ চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তাই সকল অপকর্মকে আড়াল করার জন্যই নতুন করে সরকারি জুলুমের মাত্রা বাড়ানো হয়েছে। অপরাধ না করেও মিথ্যা মামলায় আসামী হওয়াকে এখন নিয়মে পরিণত করা হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, আইনের শাসনহীন এই দেশে নিরপরাধ মানুষরাই সরকারি নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন। ৭ই জানুয়ারির ‘ডামি’ নির্বাচনের পর আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দেশের মানুষের জানমালের নিরাপত্তা এখন গভীর সংকটে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের কর্তৃত্ববাদী শাসকদের মতো আওয়ামী স্বৈরশাসকগোষ্ঠী ভিন্ন মতসহ গণতন্ত্রের সকল নিয়ম-পদ্ধতি ও নাগরিক স্বাধীনতা চিরতরে মুছে ফেলার জন্যই যত্রতত্র রাষ্ট্রের পেশি শক্তিকে ব্যবহার করছে। তবে এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির অবসান ঘটাতে সংগ্রামী জনগণ সার্বিকভাবে প্রস্তুত।
তিনি আরও বলেন, ৭ই জানুয়ারির আওয়ামী ‘ডামি’ সরকার তাদের অনৈতিক ক্ষমতাকে সংহত করতে সারাদেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের উপর যে জুলুম চালাচ্ছে তার সুষ্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ ঘটলো আবুল খায়ের ভুঁইয়ার জামিন নামঞ্জুরের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ এবং আলমগীর হোসেনকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে।
বিএনপি মহাসচিব আবুল খায়ের ভুঁইয়া এবং আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান।
খুলনা গেজেট/ এএজে