বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এই সরকার জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারবে না। কারণ, এখান থেকে তারা ভাগ চায়। তাদের নেতারা সিন্ডিকেট করে, আর সিন্ডিকেট করে তারা ভাগ চায়।’
পণ্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতির পেছনে সরকারি দলের নেতারা দায়ী বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার দাবি, নেতারা সিন্ডিকেট করে বা সিন্ডিকেট থেকে ভাগ চায়। তাই দাম কমছে না।
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে সরকার পতনের আন্দোলনে নামার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘তাদের তাখতে তাউস ভেঙে ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভে এসব কথা বলেন ফখরুল।
বর্তমান সরকারের পক্ষে পণ্যমূল্য কমানো সম্ভব নয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই সরকার জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারবে না। কারণ, এখান থেকে তারা ভাগ চায়। তাদের নেতারা সিন্ডিকেট করে, সিন্ডিকেট করে তারা ভাগ চায়।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘শুধু দ্রব্যমূল্য কমালে হবে না, জীবনকে জীবনের মতো করে চলতে হবে।
‘কথা বলা ও লেখার স্বাধীনতা দিতে হবে। ন্যায়বিচার করতে হবে। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যারা আছে তাদেরকে জনগণের সেবক হতে হবে।’
নির্বাচনের আগে নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবি জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে জনগণের সরকার জনগণের পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হোক আজকের দিনের আমাদের প্রতিজ্ঞা-প্রত্যয়-শপথ।
প্রখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত সিনেমা ‘হীরক রাজার দেশে’র উদাহরণ টেনে বর্তমান সরকারকেও ক্ষমতা থেকে টেনে নামানোর কথাও বলেন বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘সরকার দেশটাকে নির্যাতনের কারখানা বানিয়ে ফেলেছে। এখন কথা বললেই মামলা, আর মামলা হলেই পুলিশের সুবিধা বাণিজ্য হতে পারে, কোর্টেও বাণিজ্য হয়।’
তিনি বলেন, “হীরক রাজার দেশে তাই করেছিল হীরক রাজা। তারপর একদিন সমস্ত মানুষ যখন কেঁপে উঠল… হীরক রাজার একটি বড় মূর্তি ছিল, এটা যেদিন উদ্বোধন করা হবে, সেদিন সকল মানুষ এসে সেটা ঘিরে ফেলল এবং একটা দড়ি লাগিয়ে তারা বলল, ‘দড়ি ধরে মার টান, রাজা হবে খান খান’।
“এখন দড়ি ধরে ধরে টান মারতে হবে, খান খান করতে হবে, তাদের তাখতে তাউস ভেঙে ছুঁড়ে ফেলে দিতে হবে, জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানও।
খুলনা গেজেট/ টি আই