চুয়াডাঙ্গায় দশম শ্রেণির ছাত্রের সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ের ঘটনায় বরের মা অভিযুক্ত শিক্ষিক শামসুন নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুরে তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশে স্বাক্ষর করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অসদাচারণমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ায় বিধি-১১ অনুসারে শামসুন নাহারকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বাল্যবিয়ের ঘটনাটি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর ব্যাপক সমালোচনা হয়। পরে ঘটনাটি তদন্ত করার জন্য সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুমা আক্তারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। সোমবার (২৮ মার্চ) বিকেলে তিনি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। তদন্তে ঘটনার সত্যতা উঠে আসে। এছাড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূঁইয়া ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন। সবদিক বিবেচনা করে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভূঁইয়া জানান, একজন সহকারী শিক্ষক তার দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলের সঙ্গে নিজের স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে দিয়ে কাণ্ডজ্ঞানহীন কাজ করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ও আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হয়েছে। আজ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু আদেশ এখনো হাতে পাইনি।
উল্লেখ্য, গত ২০ মার্চ সদর উপজেলার ছোটশলুয়া গ্রামের পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীর সঙ্গে বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিক শামসুন নাহারের ছেলের বিয়ে হয়। খোদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা দাঁড়িয়ে থেকে নিজের ছেলের বিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। কয়েকদিন গোপন থাকলেও সোমবার বর শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ছেলের বাল্যবিয়ে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকারও করেন ওই শিক্ষিকা।
খুলনা গেজেট/এএ