খুলনা মহানগরীর দৌলতপুরের নাসা জুট ট্রেডিং তাইওয়ানের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কাছে পঁচা পাট রপ্তানি করায় রপ্তানিকারকের বিরুদ্ধে খুলনার আদালতে মামলা হয়েছে। তাইওয়ানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ২৮ হাজার ৮শ’ ৪৫ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে। উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানের পাট রপ্তানির জন্য কোন লাইসেন্সও নেই। প্রতিষ্ঠানের মালিক নগরীর মহেশ^রপাশার অধিবাসী কাজী নজরুল ইসলাম জেলহাজতে রয়েছেন। পঁচা পাট রপ্তানি করায় দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বিষয়টি অবহিত করে মামলা নিস্পত্তিতে সহযোগিতা করার জন্য পাট অধিদপ্তর জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছেন।
পাট অধিদপ্তরের সূত্র মতে, নাসা জুট ট্রেডিং এ বছরের জুলাই মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৪৩ হাজার ১শ’ ৯৩ মেট্টিক টন পঁচা মেস্তা পাট রপ্তানি করে। উল্লিখিত পরিমাণ পাটের মূল্য ২৮ হাজার ৮শ’ ৪৫ মার্কিন ডলার। এ প্রতিষ্ঠানের পাট রপ্তানির জন্য লাইসেন্স নেই। পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সওদাগর মুস্তাফিজুর রহমান গত মাসে খুলনা জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবহিত করেন। এ চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন, খুলনার দৌলতপুরের নাসা জুট ট্রেডিং তাইওয়ানের কাওসিং শহরের ফুহ্ শিং সেকেন্ড রোডের আইড্রি ট্রেডিং কোম্পানি লি. এর কাছে ঐ পরিমাণ পাট রপ্তানি করে। গত ১৯ নভেম্বর তাইওয়ানের ঐ প্রতিষ্ঠান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পাট মন্ত্রণালয়কে অবহিত করে এ মর্মে পঁচা মেস্তা পাট রপ্তানি করে তাদের সাথে প্রতারণা করা হয়েছে।
পাট অধিদপ্তরের সূত্র উল্লেখ করেছেন, লাইসেন্সবিহীন পাট ব্যবসা করে রপ্তানি পাট আইন-২০১৭ এর ৫(১) ধারা দি জুট রুলস, ১৯৬৪ এর সংশ্লিষ্ট ধারা সুস্পষ্ট লংঘন করেছে। এ অভিযোগে পাট অধিদপ্তর খুলনার মুখ্য পরিদর্শক বাদী হয়ে মহানগর হাকিম ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- দৌলতপুর সি-আর ২১৩/২০২০।
এ মামলার বাদী মুখ্য পরিদর্শক এ এম আক্তার হোসেন জানান, মহেশ্বরপাশার অধিবাসী কাজী নজরুল ইসলাম ইতিপূর্বে নামফা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি পাট রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সম্প্রতি তিনি নাসা জুট ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পাট ব্যবসা করছেন। তার এ প্রতারণার বিরুদ্ধে পাট অধিদপ্তর অভিযোগ করলে তিনি বাদী হয়ে খুলনার আদালতে ক্ষতিপূরণ দাবি করে মামলা করেছেন। তাইওয়ানের উল্লিখিত প্রতিষ্ঠান বিষয়টি সম্পর্কে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেছেন বলে সূত্র দাবি করেন।
খুলনা গেজেট /এমএম