খুলনা, বাংলাদেশ | ১৮ মাঘ, ১৪৩১ | ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  আজ থেকে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারে বাড়ল ১ টাকা
জামিন পেয়েছেন আমান ও কাদের ভূইয়া জুয়েল

নয়াপল্টনে সংঘর্ষ : ৪৪৫ জন কারাগারে, রিমান্ডে ২৩

গেজেট ডেস্ক

ঢাকার নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই মামলায় বিএনপির ২৩ নেতাকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।

পল্টন ও মতিঝিল থানার এ দুই মামলায় গ্রেপ্তার ৪৭০ নেতাকর্মীর মধ্যে ৪৪৫ জনকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস ছালাম, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, যুগ্ম মহাসচিব খাইরুল কবীর খোকন, চেয়ারপারসেন বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসও আছেন তাদের মধ্যে।

জামিন পেয়েছেন কেবল বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল।

ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুলিশের রিমান্ড এবং আসামিদের জামিন আবেদনের শুনানি করে এ আদেশ দেন।

আগামী ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে উত্তেজনার মধ্যে বিএনপি কর্মীরা বুধবার নয়াপল্টনে তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে জড়ো হলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে।

পরে বিএনপির কার্যালয়ে ঢুকে তল্লাশি চালিয়ে কয়েকশ নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার পল্টন, মতিঝিল, শাজাহানপুর ও রমনা থানায় দুই হাজারের বেশি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে চারটি মামলা করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামিদের এদিন সকালেই প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে নিয়ে আসা হয়। এ সময় বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিক্ষোভ শুরু করলে উত্তেজনা তৈরি হয়।

পল্টন থানার মামলায় ‘পুলিশের ওপর হামলা ও বেআইনি সমাবেশ’ এর অভিযোগ করা হয়েছে, আসামি করা হয়েছে ৪৭০ জনকে। তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার ৪৫০ আসামিকে এদিন আদালতে হাজির করা হয়। ১৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। বাকিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়।

আসামিদের পক্ষে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার রিমান্ডের বিরোধিতা করে জামিনের আবেদন করেন।

শুনানি শেষে বিচারক ১৪ জনকে রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দেন। এরা হলেন: বিএনপির সহ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) সেলিমুজ্জামান সেলিম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য এ কে এম আমিনুল ইসলাম, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, রমনা থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিল আহম্মদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শরিফ ও এসএম মাহমুদুল হাসান রনি; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাঈদ ইকবাল মাহমুদ, ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব আল আমিন ও বাংলা কলেজ ছাত্রদলের শুভ ফরাজী, শরীয়তপুরের বিএনপি নেতা শাহাজাদ, নরসিংদীর সজিব ভূইয়া ও গাজীপুরের সারোয়ার হোসেন শেখ।

আর বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম রেজা হাবিবকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

পাশাপাশি বিএনপি নেতা রিজভী, ছালাম, এ্যানি, খোকন, শিমুল বিশ্বাসসহ আরও ৪৩৪ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

এ মামলার আসামিদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েলের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।

মতিঝিল থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার ২০ জনকে এদিন আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশের সাত দনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে বিচারক নয় আসামিকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাজাসাবাদের অনুমতি দেন। বাকি ১১ জনকে পাঠানো হয় কারাগারে।

রিমান্ডের নয়জন হলেন: জামিল হোসাইন, হারুনুর রশীদ, রিয়াদ আহমেদ, রবিউল ইমরান, জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, মোস্তাক মিয়া, মাহাবুব মিয়া, খোরশেদ আলম সোহেল ও সোহাগ মোল্লা।

এ দুটি মামলার বাইরে শাজাহানপুর থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা মামলায় ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি দেখানো হয়েছে।

আর পুলিশের কাজে বাধা ও হামলা এবং যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টির অভিযোগে রমনা মডেল থানায় করা মামলায় ১৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও অনেককে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরও রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!