অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা শহরের ফাতেমা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয় মুক্তা খাতুন নামে এক গৃহবধূকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টায় তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালটির চিকিৎসক মুক্তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বাড়িতে এনে ধোয়ানোর সময় নড়ে উঠে মুক্তার মরদেহ। এমন গুজবে গৃহবধূর মরদেহ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ছুটে যান স্বজনরা। সদর হাসপাতালের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জানান মুক্তা আগেই মারা গেছেন। পরে রাত ১২টার দিকে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে আলমডাঙ্গার রোয়াকুলি গ্রামের পূর্বপাড়ায়। এদিকে, মরদেহ নড়ে উঠার খবর ছড়িয়ে পড়লে শতশত মানুষ ভিড় জমায় রোয়াকুলি গ্রামে। এনিয়ে গ্রামজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়।
গৃহবধূ মুক্তা খাতুন (২৫) চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার রোয়াকুলি গ্রামের পূর্বপাড়ার দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী। মেঘলা খাতুন নামে ৯ মাস বয়সী এক শিশুকন্যা রেখে গেছেন তিনি।
পরিবারের সদস্যরা জানান, শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে মুক্তা অসুস্থ অনুভব করলে তাকে আলমডাঙ্গা শহরের ফাতেমা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৪টার দিকে মুক্তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। পরে মরদেহ নেওয়া হয় নিজ বাড়ি রোয়াকুলি গ্রামের পূর্বপাড়ায়। সেখানে চলছিলো দাফনের প্রস্তুতি।
রাত ৮টার দিকে মরদেহ ধোয়ানোর (গোসল) সময় নড়ে উঠেছে এবং শরীর গরম রয়েছে বলে দাবি করেন ধৌতকারীরা। তাদের কথা শুনে রাত পৌনে ৯টার দিকে মুক্তা খাতুনের মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রোগী স্বজনদের ভিড় জমে। পরে চিকিৎসক শারীরিক পরীক্ষা শেষে মুক্তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মুক্তার পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, আগে থেকেই তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। এছাড়াও তার রক্তচাপের সমস্যাও ছিল।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. কুদরত এ খোদা বলেন, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মুক্তা খাতুনের মৃত্যু হয়েছে। বেশকিছু সময় আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ নড়ে ওঠার কথা শুনে ইসিজি করার পর নিশ্চিত হয়ে মুক্তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।