নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালের ৭০ লাখ টাকা (ইউজার ফি) আত্মসাতের অভিযোগে জড়িতদের সঠিক তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নড়াইলে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। শনিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১২ টায় আধুনিক সদর হাসপাতাল চত্বরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নড়াইল সদর উপজেলা শাখার আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়।
হাসপাতালের তত্ত্ববধায়কের কার্যালয় সূত্র জানায়, হাসপাতালের বহির্বিভাগ ফি, জরুরি বিভাগ ফি, ভর্তি ফি, প্যাথলজি ফি, এক্স রে ফি, আল্ট্রাসোনোগ্রাফি ফি, ক্যাবিন ফি, অ্যাম্বুলেন্স ফি, অপারেশন ফি, কোভিড-১৯ বাবদ ফি সহ অন্যান্য ফি সেবা গ্রহীতাদের নিকট থেকে নেওয়া হয়। এসব ফি সোনালী ব্যাংকের চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা হয়। সদর হাসপাতালের এসব ফির টাকা নড়াইল সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় জমা হওয়ার কথা। কিন্ত গত ২০১৯ সালের জুলাই মাস থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়নি। তবে ব্যাংকে জমা দেওয়ার জাল চালান হাসপাতালের হিসাবরক্ষকের কার্যালয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসাব রক্ষক জাহানারা খানম লাকিকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে এবং গত বুধবার (৭ এপ্রিল) পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আরো জানাগেছে যে, একইভাবে এর আগের হিসাবরক্ষক মোঃ মাহফুজুর রহমান সাত বছরের সেবা ফির প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা জমা দেননি। বিষয়টি অডিটে ধরা পড়লে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যশোর কার্যালয়ে মামলা হয় (মামলা নম্বর-৪/২০২০)। মামলাটি বিচারাধীন আছে। এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক মো. আব্দুস শাকুর বলেন, ‘প্রতি বছর অডিট হওয়ার কথা, কিন্তু অডিট হয় ৪-৫ বছর পর। প্রতি বছর অডিট হলে এমন সমস্যা হতো না।’
মানববন্ধন চলাকালে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত এবং এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের শাস্তির দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক নিলয় রায় বাধন, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সিদ্ধার্থ সিংহ পল্টু প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/ এস আই