নড়াইলে (২১ জুন থেকে ২৭ জুন) ৭ দিনের লকডাউনের ২য় দিন আজ। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও সাধারন মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদাসিনতা দেখা গেছে। বিভিন্ন অজুহাতে মানুষ ঘর থেকে বের হয়েছে এবং যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।
উল্লেখ্য, গত ১৯ জুন রাতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে নড়াইল জেলায় লকডাউন করেন।
ঘোষণাকৃত এলাকায় সকাল ৭ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত কাচা বাজার খোলা রাখা এবং সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্রসহ সকল প্রকার যানবাহন, আন্তঃজেলা ও দুর পাল্লার গণ পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকার ঘোষনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেন। তবে চিকিৎসাসেবা, বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিস, ব্যাংকিং, কৃষি পন্য, খাদ্য সরবরাহ ও সংগ্রহসহ বিভিন্ন জরুরী পরিসেবা লকডাউন মুক্ত রয়েছে।
এর আগে গত ১২ জুন এক গণ বিজ্ঞপ্তিতে নড়াইল পৌরসভা ও ৩ টি ইউনিয়ন নড়াইল সদরের কলোড়া ইউনিয়ন, সিংঙ্গাশোলপুর ইউনিয়ন, লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়ন ও লোহাগড়া বাজার এলাকায় ১৯ জুন পর্যন্ত লকডাউন ঘোষনা করা হয়।
এদিকে নড়াইলে করোনার উর্ধগতি রয়েছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় ৮৭ নমুনা পরীক্ষায় ৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৪৮.২৭%। গতকাল ২১ জুন শনাক্তের হার ছিলো ৪০.৪২%। আক্রান্তের মধ্যে নড়াইল সদর উপজেলায় ৩৫ জন ও লোহাগড়া উপজেলায় ৭ জন। এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে মোট ২৩৪৮ জনের। বর্তমানে নড়াইল সদর হাসপাতালে ১৮ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। নতুন তিনজনের মৃত্যুসহ এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের।
খুলনা গেজেট/এনএম