নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের লস্করপুর গ্রামের লিয়াকত হোসেন শিকদার নামে এক বাস চালককে হত্যা মামলার প্রধান আসামী সংশ্লিষ্ঠ আউড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান পলাশ মোল্যাসহ ০৩ জনকে গ্রেফতার ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে নড়াইল পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। অপর গ্রেফতারকৃত দুইজন মামলার এজাহারভুক্ত ৫ নং আসামী আউড়িয়া ইউনিয়নের সিমাখালী গ্রামের রুবেল শেখ ও ১২ নং আসামী গোপিনাথ গোপী। এসময় আরো জানানো হয় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তুষার কুমার মন্ডল ও গোয়েন্দা শাখার গঠিত বিশেষদল গত ২০/০৯/২০২১ তারিখে ঢাকা মোহাম্মদপুর থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেত সংশ্লিষ্ঠ এলাকার একটি ডোবা থেকে হত্যাকান্ডে ব্যাবহ্রত একটি সামুরাই ও একটি ছ্যানদা উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ২৮ আগস্ট রাত সাড়ে ৮ টার দিকে নড়াইল শহর সংলগ্ন সীমাখালী এলাকায় সড়কের পাশ থেকে বাস চালক লিয়াকত সিকদারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। লিয়াকত ওই গ্রামের সোহরাব সিকদারের ছেলে। এই হত্যাকান্ডের পরদিন (২৯ আগস্ট) রাতে নিহতের স্ত্রী আসমা খাতুন বাদি হয়ে নড়াইল সদর থানায় ঘটনায় সংশ্লিষ্ঠ আউড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান পলাশ মোল্যাকে প্রধান আসামী করে ১৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদি আসমা খাতুন এজাহারে উল্লেখ করেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জেরধরে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিপক্ষ আউড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান পলাশ মোল্যার সাথে বিরোধ চলে আসছিলো। এই আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির জানান, এজাহারনামীয় অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশী অভিযান অব্যহত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএ