নড়াইলে বিশ্ব বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের ৯৭ তম জন্মবার্ষিকী বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে। তিনি ১৯২৪ সালের ১০ আগষ্ট নড়াইল শহরের মাছিমদিয়া গ্রামে পিতার নাম মেছের আলী ও মাতা মাজু বিবির ঘরে জন্মগ্রহন করেন।
বরেণ্য এই শিল্পীর জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে সকাল ৬ টায় এসএম সুলতান ফাউন্ডেশন ও জেলা প্রশাসন নড়াইলের আয়োজনে কুড়িগ্রামে এসএম সুলতান কমপ্লেক্স চত্বরে কোরআন খানির মধ্যদিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল শিল্পীর কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও দোয়া মাহফিল। তবে করোনা সতর্কতায় এবার সীমিত আকারে শিল্পীর জন্মজয়ন্তী পালিত হয়েছে।
সকাল ৯ টায় শিল্পীর কবরে জেলা প্রশাসন, এস.এম সুলতান ফাউন্ডেশন, জেলা পুলিশ, এসএম সুলতান বেঙ্গল চারুকলা মহাবিদ্যালয়, এসএম সুলতান শিশু চারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশন, নড়াইল প্রেসক্লাব, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, মুর্ছনা সংগীত নিকেতন, লাল বাউল সম্প্রদায়, গ্রেভ শিল্পীগোষ্ঠী, চিত্রা থিয়েটারসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শিল্পীর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাডঃ সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়, নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ফকরুল হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক মলয় কুমার কুন্ডু, এসএম সুলতান শিশুচারু ও কারুকলা ফাউন্ডেশনর চেয়ারম্যান শেখ হানিফ, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এমামুল কবীর টুকু, সাধারণ সম্পাদক শামীমূল ইসলাম টুলুসহ সুলতান প্রেমীরা।
এসএম সুলতান ১৯৮২ সালে ‘একুশে পদক’, ১৯৮৪ সালে ‘রেসিডেন্ট আর্টিস্ট’ ১৯৮৬ সালে ‘বাংলাদেশ চারুশিল্পী সংসদ সম্মাননা’ এবং ১৯৯৩ সালে ‘স্বাধীনতা পদক’ ভুষিত হন। এছাড়াও ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ম্যান অব দ্য ইয়ার’, নিউইয়র্কের বায়োগ্রাফিক্যাল সেন্টার থেকে ‘ম্যান অব অ্যাচিভমেন্ট’ এবং এশিয়া উইক পত্রিকা থেকে ‘ম্যান অব এশিয়া’ সহ বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেন। বরেণ্য এই শিল্পী ১৯৯৪ সালের ১০ অক্টোবর যশোর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই