নড়াইলের নড়াগাতিতে গৃহবধুর অপমৃত্যু মামলা হত্যায় পরিণত হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামীসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে খাসিয়াল ইউনিয়নের টোনা গ্রামে। ময়নাতদন্তের সূত্র ধরে প্রায় পাঁচ মাস পর অপমৃত্যুর ঘটনাটি হত্যায় রূপ নিয়েছে। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূ রেহানার ভাই আল আমিন মীর বাদী হয়ে বুধবার (৮ ডিসেম্বর) পাঁচজনের নামে নড়াগাতী থানায় মামলা দায়ের করেন। রেহানা বেগম খুলনার দিঘলিয়া থানার সোনাকুড় গ্রামের হেমায়েত মীরের মেয়ে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, গত ১ জুলাই গৃহবধূ রেহানা আত্মহত্যা করেন মর্মে নড়াগাতী থানা পুলিশকে অবগত করা হয়। বিষয়টি রেহানার বাবার বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হয়। এ ঘটনায় রেহানার ময়নাতদন্ত করা হয়। প্রায় পাঁচ মাস পর গত মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে রেহানাকে নির্যাতন ও শ্বাসরোধে হত্যার বিষয়টি উঠে আসে। তাদের দাম্পত্য জীবনে খাদিজা নামে ১০ মাসের কন্যা সন্তান রয়েছে।
এরপর নিহত রেহানার ভাই বাদী হয়ে তার (রেহানা) স্বামী নজরুল ইসলামসহ পাঁচজনকে আসামি করে নড়াগাতী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হত্যা মামলা দায়ের করেন। অসামিরা হলেন-রেহানার স্বামী টোনা গ্রামের নজরুল ইসলাম (৩৯), নজরুলের ভাই নাইমুল ইসলাম (৩৫), অপর ভাই নূর আলম (৩২) ও বোন নূরজাহান (৩৮) এবং নাইমুলের স্ত্রী তহমিনা খাতুন।
মামলা বাদী রেহানার ভাই আল আমিন মীর জানান, ২০১৮ সালের ১ আগস্ট টোনা গ্রামের গোলাম নবীর ছেলে নজরুল ইসলামের সাথে তার বোনের বিয়ে হয়। এরপর যৌতুকের দাবিতে রেহানাকে প্রায়ই মারধর করত তার স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ঘটনার দিন গত ১ জুলাই সকালে রেহানা তার ভাইকে মোবাইল ফোনে নির্যাতনের কথা জানান। তবে রেহানার স্বামী তার ভাইকে (আল আমিন) বলেন, রেহানা আত্মহত্যা করেছে।
নড়াগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকসানা খাতুন জানান, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে নিহত রেহানার ভাই বাদী হয়ে পাঁচজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এজাহারভূক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম