করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে চলমান লকডাউন চলাকালে অসহায় ও দুঃস্থ্যদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। নড়াইল সদর উপজেলা কোয়াটার চত্বরে শতাধিক ব্যক্তিকে খাদ্য সহায়তা তুলে দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম ও সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাসরিনা সুলতানা।
ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রনালয়ের বরাদ্দকৃত প্রতিজনকে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি তেল দেওয়া হচ্ছে। করোনাকালে ৩৩৩ নম্বরে কল করা সদর উপজেলায় এ পর্যন্ত ৮৩৫জন অসহায় ও দুঃস্থ্ ব্যক্তিকে এ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
এছাড়া জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় ও দুঃস্থ্যদের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। নড়াইল আদালত চত্বর এলাকায় একশ’ জনকে খাদ্য সহায়তা তুলে দেন পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়। এসময় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শওকত কবির, পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) শিমুল কুমার দাস, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক অজিত কুমার মিত্র সহ পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় পুলিশ সুপার বলেন, করোনা কালীন লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় ও দুঃস্থ্য কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের কথা চিন্তা করে আমাদের এই সামান্য চেষ্টা। এর আগেও পুলিশ কয়েক দফা খাদ্য সহায়তা দিয়ে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে। সমাজের উচ্চবিত্ত দানশীল ব্যাক্তিরা অসহাযদেও পাশে দাড়ালে তারা আর কষ্টে থাকবে না। আমরা খাদ্য সহায়তা , মাস্ক বিতরন, প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি, সকলে একসাথে এই করোনা মহামারিকে মোকাবেলা করতে হব্ েসকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে পারবো।
খুলনা গেজেট/ টি আই