নড়াইল সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় ১৭৬ টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিলো, তার মধ্যে প্রাপ্ত ৬২ টি নমুনা পরীক্ষায় ৫১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৮২.২৫%। গতকাল ২৮ জুন শনাক্তের হার ছিলো ৩৮.৪০%।
আক্রান্তদের মধ্যে নড়াইল সদর উপজেলার ১৫ জন, লোহাগড়া উপজেলায় ১৬ জন ও কালিয়া উপজেলায় ২০ জন। এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে মোট ২৬২৮ জনের, সুস্থ হয়েছে ২০৩৪ জন। এছাড়া আরো ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, মৃতদের মধ্যে নড়াইল সদরে ২ জন ও কালিয়া উপজেলায় ১জন। এ নিয়ে জেলায় মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ালো ৪৪ জন। বর্তমানে নড়াইল সদর হাসপাতালে ১৭ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আকতার বলেন, সাধারণত আমাদের প্রতিদিন করোনা শনাক্তের হার ৪০ শতাংশের মধ্যেই থাকে। তবে ৩০০ এর বেশি নমুনা পরীক্ষার জন্য জমা রয়েছে। যে কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ফলে আজ শনাক্তের হার বেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে মূলত মানুষকে সচেতন হতে হবে। মাস্ক পরিধান করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এদিকে নড়াইলে (২৮ জুন থেকে ৩০ জুন) ৩য় দিনের লকডাউনের ২য় দিন আজ। ২৭ জুন রাতে ৩ দিনের লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারী করে জেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য, এর আগে (১২-১৯) জুন পর্যন্ত নড়াইল পৌরসভা ও ৩ টি ইউনিয়নে এক সপ্তাহ ও ১৯ জুন সমগ্র নড়াইল জেলায় ৭ দিন লকডাউন ঘোষণা করা হয়। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সাধারন মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উদাসিনতা দেখা গেছে। বিভিন্ন অজুহাতে মানুষ ঘর থেকে বের হয়েছে এবং যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানছে না।
স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৫ টি মামলায় ৫ জন অভিযুক্তকে ৩ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লকডাউন ঘোষণাকৃত এলাকায় সকাল ৭ টা থেকে বেলা ১২ টা পর্যন্ত কাঁচাবাজার খোলা ছাড়া সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিনোদন কেন্দ্র, সকল প্রকার যানবাহন, আন্তঃজেলা ও দুরপাল্লার গণ পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে চিকিৎসাসেবা, বিদ্যুৎ, ফায়ার সার্ভিস, ব্যাংকিংসহ জরুরি পরিসেবা লকডাউন মুক্ত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম