ইমোশন কাজে লাগিয়ে একটি গোষ্ঠী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, একটি ছেলের ফেসবুকের পোস্ট দেখে আবেগের (ইমোশনাল) বশবর্তী হয়ে নড়াইলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। বাংলাদেশে সব ধর্মের প্রাধান্য রয়েছে। হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাইকে মিলিয়ে আমাদের দেশ। আমরা জাতি হিসেবে অত্যন্ত ইমোশনাল।
বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লুতে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাঝে মাঝে যেকোনোভাবেই দু’একটি উক্তি চলে আসে এবং এগুলোকে পুঁজি করে ইমোশনালভাবে কিছু ঘটনা ঘটে যায়। আর ইমোশনকে কাজে লাগিয়ে একটি গোষ্ঠী অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।
মন্ত্রী বলেন, নড়াইলসহ এর আগেও কিছু ঘটনা ঘটেছে। সবগুলো ঘটনাতেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎক্ষণাৎ অ্যাপ্রোচ করেছে। নড়াইলের ঘটনা যখনই ঘটেছে তখনই ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া ছেলেটির বাড়ি প্রটেকশনে ছিল এবং তাকে খোঁজা হচ্ছিল। কিন্তু ছেলেটির ফেসবুকের পোস্ট দেখে একটি গোষ্ঠী ইমোশনাল হয়ে নড়াইলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন, ইমোশনকে কাজে লাগিয়ে যারা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায় তারা সব জায়গাতেই এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। না হলে ঘটনা ঘটিয়েছে একটি ছেলে এতে বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার কোনোই প্রয়োজন নেই। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে ছেলেটির বাড়ি প্রটেকশন দেয় এবং যারা যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদের প্রত্যেককে শনাক্ত করে ধরা হয়েছে।
নড়াইলের ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আসাদুজ্জামান খান কামাল
তিনি বলেন, নড়াইলের ঘটনায় সবগুলো বিষয় সামনে এনে ইনভেস্টিগেশনে চলছে। কে কতখানি সম্পৃক্ত ছিল তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই