নড়াইলের কালিয়া পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান হীরার নির্বাচনী কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২৩ জানুয়ারি) রাত ১টার দিকে বড় কালিয়ার ব্যাপারীপাড়া নির্বাচনী অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
আ’লীগের মেয়র প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান হীরা বলেন, রাত ১টার দিকে পৌরসভার বড়কালিয়ার ব্যাপারীপাড়ায় আমার নির্বাচনী কার্যালয়ে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। আরো দু’টি ককটেল অবিস্ফোরিত থাকে। পরে নির্বাচনী কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে লিটনের পক্ষে মিছিল দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। মিছিল থেকে কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষকে হত্যার হুমকি দিয়ে শ্লোগান দেয়া হয়।
তবে এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান বলেন, আমার নির্বাচনকে বানচাল করতে এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এসব ষড়যন্ত্র করে আমার জনপ্রিয়তাকে নষ্ট করা যাবে না। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ থাকবে যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
পুলিশ সুপার (কালিয়া সার্কেল) রিপন চন্দ্র সরকার বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দু’টি ককটেল সদৃশ্যবস্ত ও দু’টি ছ্যানদা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। কালিয়ার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আগামী ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপে কালিয়া পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ১৬ হাজার ৩৮৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮ হাজার ১৪৭ জন এবং নারী ভোটার ৮ হাজার ২৩৬ জন। মেয়র পদে ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান হীরা, বিএনপির এসএম ওয়াহিদুজ্জামান মিলু ও বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র ফকির মুশফিকুর রহমান লিটন।
এছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৯ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯৭৬ সালে গঠিত কালিয়া পৌরসভাটি ২০১১ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হয়।
খুলনা গেজেট/এনএম