নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিমসহ তিনজনকে। অপর দু’জন হল ইরফান সেলিমের দেহরক্ষী জাহিদ ও গাড়িচালক মিজান। এর মধ্যে মিজানের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। এ ঘটনায় এমপি পুত্র ইফরান সেলিমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় সোমবার (২৬ অক্টোবর) সকালে ‘মারধর ও হত্যাচেষ্টা’ মামলা করেছেন নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা।
রাজধানীর কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হাজী সেলিমের ছেলে ইফরানের গাড়ি মোটরসাইকেলে থাকা নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম আহমেদ খান ও তার স্ত্রীকে ধাক্কা দেয়। পরে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিম ধাক্কা সামলে গাড়িটির সামনে দাড়ালে তাকে বেধরক মারধর করে হাজি সেলিমের ছেলে ইফরান সেলিম ও তার সহযোগিরা।
রবিবার (২৫ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর পরই গাড়িটি ফেলে এর নম্বরপ্লেট ভেঙে চলে যান হাজী সেলিমের ছেলে ও তার বডিগার্ডরা। গাড়ির নম্বর– ঢাকা মেট্টো- ঘ ১১-৫৭৩৬। রাতেই ধানমণ্ডি থানায় জিডি করেন আহত নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিম। এ ঘটনায় গাড়িটি জব্দ ও চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে ওয়াসিম আহমেদকে রক্তাক্ত দেখা যায়। ভিডিওতে তাকে মারধর করে তার দাঁত ভেঙে ফেলা হয়েছে দাবি করলেও জিডিতে এ কথা উল্লেখ করা হয়নি।
জিডিতে ওয়াসিফ আহমেদ উল্লেখ করেছেন, তিনি ও তার স্ত্রী মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়ি তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। ধাক্কা সামলে সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থেকে নেমে গাড়িটির সামনে দাঁড়ান ওয়াসিম। তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে গাড়ি থেকে জাহিদ ও আবু বক্কর সিদ্দিকসহ আরও ২-৩ জন তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে। তাকে ও তার স্ত্রীকে হত্যার হুমকিসহ তুলে নেয়ার হুমকি দেয় তারা।
ধানমন্ডি থানার এএসআই আবদুল্লাহ জাহিদ জানান, সাংসদ হাজী সেলিমের জিপ গাড়ির সঙ্গে নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল সামান্য ঘষা লাগায় প্রথমে কথা কাটাকাটি, এরপর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে মোটরসাইকেল ও গাড়িটি জব্দ করে ধানমন্ডি থানায় নিয়ে আসা হয়।
খুলনা গেজেট/এমএম