যশোরে সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকা মার্কার মনোনয়ন দেয়ার পর শুরু হয়েছে নির্বাচনী সহিংসতা।
ইতিমধ্যে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের দাউদ হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান মুন্নার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় তাদের যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলায় নৌকা প্রতীকের সমর্থক আহতরা হলেন, সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি এলাকার মোফাজ্জেল হোসেন (৬৫), শ্যামনগর গ্রামের শফিয়ার রহমানের ছেলে আবু সাঈদ (৩০), ছাতিয়ানতলা গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে হাসিবুর রহমান (৩৫), মৃত বারেক দফাদারের ছেলে দিপু দফাদার (৪০), তার ভাই নিপু দফাদার (৪৫), বাগডাঙ্গা গ্রামের মৃত সামাদের ছেলে আশিকুর ইসলাম (৪২), জগহাটি গ্রামের নুর আলীর ছেলে আব্দুল আলিম (৪৫), বাগডাঙ্গা গ্রামের শাহাদত ইসলামের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩৮)।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক আহতরা হলেন, ছাতিয়ানতলা গ্রামের বাবুল বিশ্বাসের ছেলে মারুফ হোসেন (২০), আবুল কাশেম বিশ্বাসের ছেলে সাইমুল হাসান (৩৮), মৃত আব্দুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে আব্দুল হান্নান (৫০)। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নৌকার প্রার্থী দাউদ হোসেনের সমর্থক আহতরা অভিযোগ করে বলেন, তারা নৌকা মার্কা মনোনীত প্রার্থীকে নিয়ে গাড়ি বহরে এয়ারপোর্ট থেকে চুড়ামনকাঠি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে গাড়ি থামালে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সন্ত্রাসী বাহিনী। লাঠিসোঠা ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাদের পক্ষের ১২ থেকে ১৫ জন আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান মুন্নার কর্মীরা অভিযোগ করেন, এবার চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আব্দুল মান্নান মুন্না বিরোধী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করবেন। এ জন্য তারা ইউনিয়ন পরিষদের ভেতর দোয়া মাহফিলে ছিলো। তখন নৌকার লোকজন মোনজাত ধরার সময় তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এতে তাদের ৩ জন গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার আহমেদ তারেক শামস্ জানান, আহত সকলেই আশঙ্কামুক্ত। তাদেরকে ওয়ার্ডে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই