নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও সেই ঘটনার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় অন্যতম আসামি কালামকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার ভোরে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা থেকে কালামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হলো। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাত ৮টার দিকে র্যাবের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব অধিনায়ক বলেন, ‘কালামকে খুঁজছিলাম কিন্তু সে পলাতক ছিল। আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল, সাইফুল কুমিল্লাতে আছে। পরে আমরা অভিযান চালিয়ে তাকে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গ্রেপ্তার করি।’
খন্দকার সাইফুল আলম আরো বলেন, ‘আমরা তাকে এরইমধ্যে বেগমগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের জন্য পাঠিয়েছি। এখনো গিয়ে পৌঁছায়নি আমাদের কর্মকর্তারা। আর হয়তো ঘণ্টা দেড়েকের ভেতরে তাকে হস্তান্তর করা হবে। তাকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে এটা থানা পুলিশ নির্ধারণ করবে।’
গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে এক গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তাঁর স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখেন দেলোয়ার বাহিনীর বাদলসহ অন্যরা। এরপর তাঁরা গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তাঁরা গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ফোনে ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। পরে অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে গত রোববার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। সেখানে নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরো সাত-আটজনকে আসামি করা হয়। তাঁদের সবার বাড়ি বেগমগঞ্জে। তাঁরা সবাই একলাশপুরের দেলোয়ার বাহিনীর সদস্য।
খুলনা গেজেট/এমবিএইচ