নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ইউপি নির্বাচনে নৌকার ভোট করায় এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চান মিয়া (৩৫) নামে আরো এক ব্যক্তি গুরুত্বর আহত হয়েছে।
নিহত ফরিদ সর্দার (৪৫) উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ছেলে কালা মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের ইসমাইল মেম্বারের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের ছেলে জাকের অভিযোগ করে বলেন, সকালে তার বাবা বন্ধু চান মিয়াকে নিয়ে স্থানীয় বাংলা বাজারে ইরি ধান ক্রয় করতে যায়। এক পর্যায়ে বাংলা বাজার থেকে তিনি মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। যাত্রা পথে তিনি উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ইসমাইল মেম্বারের বাড়ির সামনে পৌঁছলে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা মহিউদ্দিন চেয়ারম্যানের লোকজন বাবাকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মাথায় কুপিয়ে এবং পায়ে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে হত্যা করে। বাবা নৌকার প্রার্থীর ভোট করায় মহিউদ্দিন চেয়ারম্যানের লোকজন এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
পুলিশ জানায়, নিহত ফরিদ সর্দার স্থানীয় নোব্বা চোরা হত্যা মামলার আসামি। পিতৃ হত্যার প্রতিশোধ নিতে মৃত নোব্বা চোরার তৃতীয় সংসারের ছেলে সোহাগ,আকবরসহ ১০-১৫জন ফরিদকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে মাথায় কুপিয়ে এবং লোহার রড দিয়ে পায়ে পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন চৌধুরীর ফোনে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.জিয়াউল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, পূর্ব শক্রতার জের ধরে পিতৃ হত্যার প্রতিশোধ নিতে নিহত ফরিদ সর্দারের প্রতিপক্ষ নোব্বা চোরার ছেলেরা তাকে কুপিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুপুর ৩টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ওসি মো.জিয়াউল হক আরো জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। অভিযুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই