নোয়াখালীতে নারী নির্যাতনের ঘটনায় সোহাগ ও রাসেল নামে আরও দু’জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার (৭ অক্টোবর) সকালে নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে, মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) রাতে মামলার রিমান্ডে থাকা আসামীদের তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার জানান, মামলার এজাহারে নাম না থাকলেও রিমান্ডে থাকা আসামিদের তথ্যের ভিত্তিতে নোয়াখালীতে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালিয়ে এ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পেলে তাদেরকেও মামলায় অন্তর্ভুক্তি করা হবে। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের জোর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নে এক গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তাঁর স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখেন দেলোয়ার বাহিনীর বাদলসহ অন্যরা। এরপর তারা গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তারা বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিওচিত্র ধারণ করেন। পরে অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে গত রোববার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন। সেখানে নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো সাত-আটজনকে আসামি করা হয়। তবে দেলোয়ারকে আসামি করা হয়নি। এরই মধ্যে দুটি মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে দুই আসামিকে গতকাল ছয়দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
খুলনা গেজেট/এআইএন