নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের আগে সেই নারীকে দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার একাধিকবার ধর্ষণ করে। তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ধর্ষণ করে সে। শারীরিক সর্ম্পকে রাজি না হলে নিজ বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে গণধর্ষণের হুমকিও দিতো দেলোয়ার।
নির্যাতনের শিকার ওই নারীর সঙ্গে কথা বলে এমন কথা জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ-তদন্ত) আল-মাহমুদ ফায়জুল কবীর। মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অডিটরিয়ামে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন তিনি।
আল-মাহমুদ ফায়জুল কবীর জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বেগমগঞ্জ থানায় তিনিসহ তাদের তদন্ত কমিটির সদস্যরা নির্যাতিতা ওই গৃহবধূর সঙ্গে কথা বলেন। গৃহবধূ তাদের জানান, দেড় বছর আগে দেলোয়ার তার ঘরে ঢুকে প্রথমে তাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। এ সময় দেলোয়ার তাকে ধর্ষণ করে। তিনি চিৎকার করার চেষ্টা করলে দেলোয়ার তাকে হত্যা ও তার দলের লোকজন দিয়ে গণধর্ষণের ভয় দেখাতো।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক জানান, ওই ঘটনার কিছুদিন পর দেলোয়ার ও তার সহযোগী কালাম ওই নারীকে তার বাড়ি থেকে বের করে একটি নৌকায় বাড়ির পাশ্ববর্তী একটি বিলে নিয়ে যায়। সেখানে কালামের হাত থেকে রক্ষা পেলেও দেলোয়ার তাকে নৌকার মধ্যে আবার ধর্ষণ করে। এরপর থেকে দেলোয়ার তার সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করতে ব্যর্থ হয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
আল-মাহমুদ ফায়জুল কবীর জানান, এ ঘটনায় নির্যাতিতা নারী বাদী হয়ে আদালতে একটি ধর্ষণ মামলা করবেন। মামলাটি পরিচালনা করবেন অ্যাডভোকেট জাফর উদ্দিন বাবুল। আদালতে ২২ ধারায় আবার নির্যাতনের শিকার নারীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে। আমাদের তদন্ত শেষে চূড়ান্ত রিপোর্ট মানবাধিকার চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেওয়া হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকারের উপ-পরিচালক গাজী সালা উদ্দিন, নোয়াখালী জেলা মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কামরুন নাহার প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এনএম