করোনাকালে খেলার মাঝে ছিলেন না ফুটবলাররা। ঘরোয়া মৌসুমও পরিত্যক্ত হয়েছে। এর পরেও ব্যক্তিগত অনুশীলন করে ফিটনেস ধরে রাখার চেষ্টা করেছেন সবাই। তার পরেও ম্যাচ ফিট অবস্থায় নেই বেশির ভাগ খেলোয়াড়। এই অবস্থায় নেপালের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচের আগে ফিটনেস নিয়ে চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মাঝে পড়তে হয়েছে জাতীয় দলকে।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে দুইঘণ্টার অনুশীলনে ফিটনেস ফিরে পাওয়ার মিশনে ছিলেন ইয়াসিন-নাজমুলরা। অনুশীলন চলেছে দ্বিতীয় দিনের মতো। দলের হেড কোচ জেমি ডে ঢাকায় আসছেন আগামী ২৯ অক্টোবর। তার আসার আগ পর্যন্ত সহকারী কোচরাই খেলোয়াড়দের ফিটনেস ক্লাস নেবেন। এখন শুরুর কয়টি দিন যে ফিটনেস নিয়েই বেশি কাজ করতে হবে, সেটি অনুমেয় ব্যাপারই হয়ে দাঁড়িয়েছে সবার কাছে। কারণ করোনা পরবর্তী সময়ে খেলোয়াড়দের ফিটনেস আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনাটা যে চ্যালেঞ্জিং, সেটি মানতে বাধ্য হচ্ছেন সহকারী কোচ মাসুদ পারভেজ কায়সার। অনুশীলনের এক ফাঁকে সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘পুরো বিষয়টি আসলে চ্যালেঞ্জিং। আমরা বলে আসছি, হেড কোচও বলেছে। কারণ একেকজনের ফিটনেস লেভেল একেক অবস্থায় আছে। বসুন্ধরার খেলোয়াড়রা ট্রেনিংয়ে আছে। তাদের ফিটনেস লেভেল এক রকমের। এর বাইরে যারা আছে, তাদের আবার অন্যরকম।’
তবে ক্যাম্পে যারাই যোগ দিচ্ছেন না কেন, সবারই ফিটনেস পরীক্ষা হচ্ছে। কার কী অবস্থা, তা দেখে নিচ্ছেন কোচিং স্টাফরা। কায়সার তাই বলছিলেন, ‘বসুন্ধরার বাইরে যারা আছে, তারা ব্যক্তিগত ট্রেনিং করেছে। কিন্তু টিম ট্রেনিং ও ব্যক্তিগত ট্রেনিংয়ের মধ্যে পার্থক্য আছে। আমরা যতটুকু সময় পাই, চেষ্টা করবো ফিটনেসটা একটা পর্যায় আনার জন্য। যারা পরে যোগ দেবে, তাদেরও ফিটনেস পরীক্ষা হবে। সেটি দেখার পরেই অনুশীলন।’
দলে তরুণ ডিফেন্ডার ইয়াসিন আরাফাতও মনে করছেন, দীর্ঘ দিন পর হওয়ায় অনুশীলনে পুরোপুরি মানিয়ে নেওয়াটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে, ‘অনুশীলনে যার যার জায়গা থেকে ভালো করার চেষ্টা করছে সবাই। আজও সবাই অনুশীলনে ভালো করছে। তবে অনেক দিন পর অনুশীলন, সময়ও কম। তাই মানিয়ে নিতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে।’
খুলনা গেজেট/এএমআর