ঢাকায় এসে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৩ ও ১৭ নভেম্বর দু’টি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলতে নেপাল আনুষ্ঠানিক সম্মতি জানানোর পরই ব্যস্ততা শুরু বাফুফের। একদিন আগে ম্যাচ দু’টির জন্য ঘোষণা করা হয়েছে ৩৬ জনের প্রাথমিক দল। গত আগস্টে যে প্রাথমিক দলটি ঘোষণা করা হয়েছিল বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ ম্যাচের জন্য, সেই দলটিই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। খেলোয়াড়রা করোনা পরীক্ষা করে আসবেন। যাদের রিপোর্ট নেগেটিভ হবে তাদেরই ওঠানো হবে ক্যাম্পে।
প্রধান কোচ জেমি ডে আসবেন ২৯ অক্টোবর। আজ শুক্রবার খেলোয়াড়রা রিপোর্ট করবেন সহকারী কোচ মাসুদ পারভেজ কায়সারের কাছে প্যানপ্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে। সেখান থেকেই বাংলাদেশ দল অনুশীলন করবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এবং কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহী মুস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে। নেপাল ফুটবল দল অনুশীলন করবে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব মাঠ ও কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ সিপাহী মুস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে।
ঘোষিত দল এবং ম্যাচের প্রস্তুতিসহ আনুষাঙ্গিক বিষয়ে নিয়ে বুধবার অনলাইনে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাফুফে। ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ, বাফুফে সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু নাইম সোহাগ ও জাতীয় দলের প্রধান কোচ জেমি ডে সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
করোনার কারণে খেলাধুলা বন্ধ হয়েছিল। এখন আস্তে আস্তে বিভিন্ন খেলা মাঠে গড়াচ্ছে। ফেডারেশন কাপ দিয়ে ডিসেম্বরে মাঠে গড়ানোর কথা ফুটবল। তার আগে এই দু’টি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরছে বাংলাদেশ। কোচ জেমি ডে এবং ন্যাশনাল টিমস কমিটি প্রধান ফুটবল মাঠে ফেরাকেই বেশি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
২৯ অক্টোবর ঢাকায় এসে কোয়ারেন্টাইন শেষে দলের অনুশীলনে যোগ দেবেন জেমি ডে। দুই সপ্তাহের মতো সময় পাবেন তিনি। যা আন্তর্জাতিক ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট নয়।
কোচ জেমি ডে বলেছেন, ‘দলকে প্রস্তুত করতে দুই সপ্তাহ খুবই অল্প সময়। ম্যাচের আগে আমাদের কমপক্ষে আট সপ্তাহ প্রস্তুতির দরকার ছিল। যেহেতু ম্যাচের আগে সময় কম। তাই আমাদের সেভাবেই প্রস্তুত হতে হবে। ফিফা ফ্রেন্ডলির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ফুটবল ফিরছে, এটাই বড় বিষয়।’
খুলনা গেজেট/এএমআর