খুলনা, বাংলাদেশ | ৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৮ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  বিচার বিভাগকে ঘুষ ও দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা হচ্ছে : ড. ইউনূস
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৩৮৯
  পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকেও আমরা ভারত থেকে ফেরত চাইব : প্রধান উপদেষ্টা

নেপালে শক্তিশালী ভূমিকম্পে ৬ জ‌নের মৃত‌্যু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নেপালে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬.৬। এতে ছয়জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (৯ নভেম্বর) দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে এই ভূমিকম্প ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

নেপালের ভূতাত্ত্বিক কেন্দ্রের বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

রয়টার্সের অংশীদার ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, নেপালের ডোটি জেলায় ভূমিকম্পে একটি বাড়ি ধসে পড়ার পরে ছয়জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি) এর আগে জানিয়েছিল, ভূমিকম্পটি ৫.৬ মাত্রার হতে পারে। ইএমএসসি আরও জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল প্রতিবেশী ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যের পিলিভীট শহরের প্রায় ১৫৮ কিলোমিটার (৯৮ মাইল) উত্তর-পূর্বে এবং এটির গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ ​​কিলোমিটার গভীরে।

ভূমিকম্পের পর সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতেও কম্পন অনুভূত হয়েছে এবং ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি ভূমিকম্পটিকে ৬.৩ মাত্রার বলে চিহ্নিত করেছে।

উল্লেখ্য, নেপালে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কিছু ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পোখারা শহরের মধ্যবর্তী স্থানে রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে দেশটিতে অন্তত ৮ হাজার ৯৬৪ জন নিহত এবং প্রায় ২২ হাজার মানুষ আহত হন।

‘গোর্খা ভূমিকম্প’ নামে পরিচিত সেই ভূমিকম্পের আঘাতে উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি শহরও কেঁপে উঠেছিল। এর পাশাপাশি কম্পন অনুভূত হয়েছিল পাকিস্তানের লাহোরে, তিব্বতের লাসা এবং বাংলাদেশের ঢাকাতেও। সেই ভূমিকম্পের পর কাঠমান্ডু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এছাড়া ওই ভূমিকম্পে মাউন্ট এভারেস্টে তুষারপাতের ঘটনা ঘটে। এতে ২২ জনের মৃত্যু হয়। পরে একই বছরের ১২ মে বড় ধরনের আফটারশক অনুভূত হয়। এই আফটারশকের কেন্দ্রস্থল ছিল কাঠমান্ডু এবং মাউন্ট এভারেস্টের মধ্যবর্তী চীন সীমান্তের কাছের অঞ্চল। এতে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যান এবং আহত হন ২ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!