ভোগান্তি আর দুর্ভোগের সমার্থক হয়ে গেছে যেন আজ শুক্রবারের ঈদযাত্রা। বাস টার্মিনাল আর রেল স্টেশনে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় আর যানবাহনের স্বল্পতায় অনেকেরই ঈদযাত্রা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
ঈদের আনন্দ পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ভাগাভাগির আকাঙ্ক্ষায় সব ঝুঁকিই যেন নগণ্য। কিন্তু, ঝুঁকি নিয়েও সবাই তো আর সফল হয় না। মুহূর্তেই আনন্দ বিষাদে পরিণত হলো দুজন যাত্রীর। রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের ট্রেনের ছাদে ওঠার সময় গিয়ে পড়ে গিয়ে আহত হন তাঁরা।
আজ সকালে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গগামী সব ট্রেনই দেড় থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত দেরিতে আসে। গেট দিয়ে উঠতে ব্যর্থ হয়ে অনেকেই বেছে নেন জানালা। টিকেটধারী যাত্রীদের অনেকেই বিশেষ করে নারী ও শিশুরা এ সময় অসহায় হয়ে পড়েন। ছাদেও একটু স্থান নিশ্চিত করার জন্য তীব্র প্রতিযোগিতা যাত্রীদের। স্বল্প সময়ের ব্যবধানে ট্রেন কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
আর, বাস যাত্রীদের ভোগান্তি যেন সব সীমা ছাড়িয়ে যায়। সায়েদাবাদ, গাবতলী বা মহাখালী টার্মিনালে বাস পেতে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে টিকেট কাটা যাত্রীদের। মহাখালীতে হাজার হাজার যাত্রী অপেক্ষায় থাকলেও বাসের দেখা নেই। হাতেগোনা যেসব বাস ছেড়ে গেছে, তারা ভাড়া হেঁকেছে তিন থেকে চারগুণ।
বাস না পেয়ে বাধ্য হয়ে অনেক যাত্রী গাড়ি ভাড়া করে বা ভেঙে ভেঙে যেতে বাধ্য হন। এ ছাড়া লোকাল বাসগুলোকেও দূরপাল্লার ট্রিপ দিতে দেখা গেছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই