খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  খুলনার বড় বাজারের পাটের বস্তার গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস
  আজারবাইজানে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

নূরদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা, ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নামে নতুন সংগঠন

গেজেট ডেস্ক

ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ নামে নতুন একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। যার আহ্বায়ক হয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক এপিএম সুহেল। আর সদস্য সচিবের দায়িত্ব পেয়েছেন ইসমাইল সম্রাট।

বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আর এতে ছাত্র অধিকার পরিষদের শীর্ষ নেতা ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, মুহাম্মদ রাশেদ খান ও ফারুক হোসেনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে এপিএম সুহেল অভিযোগ করেন, নিজেদের সিন্ডিকেটের কয়েকজন সদস্য ছাড়া বাকিদের মতামত অগ্রাহ্য করে ছাত্র অধিকার পরিষদকে স্বৈরতান্ত্রিক সংগঠনে পরিণত করা হয়েছিল। সাধারণ ছাত্র অধিকারের জন্য সংগঠনটি কাজ শুরু করলেও নূর ও তার সহযোগীরা তাদের নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করেছেন।

এপিএম সুহেল বলেন, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সংগঠনের তৃতীয় বর্ষে পদার্পণ অনুষ্ঠানে সংগঠনের নাম সংক্ষিপ্ত করে ছাত্র অধিকার পরিষদ করা হয়। যার বিরোধিতা করেছিলাম আমরা। ডাকসুর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর মূলধারার রাজনীতি করার অভিপ্রায়ে কারও মতামত না নিয়ে তাড়াহুড়ো করে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ, শ্রমিক অধিকার পরিষদ ও প্রবাসী অধিকার পরিষদ নামে অঙ্গ সংগঠন তৈরি করা হয়।

তিনি বলেন, একক সিদ্ধান্তে স্বৈরতান্ত্রিক উপায়ে সংগঠনটি পরিচালনা করছে নূর-রাশেদ-ফারুক। গণমানুষের কথা বলে আবেগকে পুঁজি করে, মুখোশ পরে আছে ভয়ঙ্কর কিছু সত্য, যা সংগঠনের প্রায় সবাই জানে, কিন্তু প্রকাশ করছে না।

নতুন কমিটির সদস্য সচিব ও পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক ইসমাইল সম্রাট বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের মামলাকে রাজনীতিকীকরণ করে ভিকটিমকে নোংরাভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, যেখানে সংগঠনের ৮০ ভাগ সহযোদ্ধা এ বিষয়ে জানে। এই মামলাটা তখনই রাজনৈতিক মামলা হতো, যদি সংগঠনের সবাই আগে থেকে না জানতো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর বলেন, সরকারি দলের পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্র অধিকার পরিষদের বিদ্রোহী অংশের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটি সরকারের ষড়যন্ত্রের অংশ।

তিনি বলেন, প্রেসক্লাবে যারা সংবাদ সম্মেলন করেছে, তাদের একজন ‘চাকরির বয়সসীমা ৩৫’-এর আন্দোলনকারী, ঐক্যবদ্ধ সাধারণ ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক। কয়েকজনকে চিনিও না। শুধু এপিএম সুহেল ছাত্র অধিকার পরিষদে ছিল। কিন্তু গত মে মাসে তাকে সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে যুক্ত থাকার কারণে বহিষ্কার করা হয়েছে।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!