খুলনা, বাংলাদেশ | ২৫শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

নিয়ন্ত্রণে করোনা : দেশে মৃত্যু ১, শনাক্তের হার ৫.৮৪%

গেজেট ডেস্ক

করোনা শনাক্তের হার আরও কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ। বৃহস্পতিবারের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, কমেছে শূন্য দশমিক সাত আট। বৃহস্পতিবার শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।

করোনাভাইরাসের শনাক্তের হার ৫ বা এর নিচে নামলে তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলা যায়। সেই হিসেবে পরিস্থিতি এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রিত বলা না গেলেও বোঝা যাচ্ছে অনেকটাই লাগাম টানা গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্তের হার কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ। আর মৃত্যুর সংখ্যাও এক।

গত তিন দিন ধরে শনাক্ত ৬ থেকে ৭ শতাংশে ঘুরপাক খাচ্ছে। মঙ্গলবার আশা দেখিয়ে বুধবার শনাক্তের হার কিছুটা বেড়ে গেলেও বৃহস্পতিবার এসে আবারও নিম্নমুখী হয়েছে। তা অব্যাহত আছে শুক্রবারেও।

এদিন শনাক্তের হার আরও কমে হয়েছে ৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ। বৃহস্পতিবারের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, কমেছে শূন্য দশমিক সাত আট। বৃহস্পতিবার শনাক্তের হার ছিল ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শুক্রবার দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬ হাজার ৮৩টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ৩৫৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর গত ১৬ জুন প্রথমবারের মতো পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৫ শতাংশ ছাড়ায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুযায়ী, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা অবস্থায় শনাক্তের হার পরপর দুই সপ্তাহ ৫ শতাংশের বেশি হলে পরবর্তী ঢেউ ছড়িয়েছে বলে ধরা হবে। সেই হিসাবে দেশে এখন করোনার চতুর্থ ঢেউ চলছে।

নতুন শনাক্তদের মধ্যে ৮৫ জনই ঢাকা জেলার। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট রোগী শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৪ হাজার ৫৪৩ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৯ হাজার ২৮৫ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যিনি মারা গেছেন তিনি পুরুষ। ঢাকার বাসিন্দা এই ব্যক্তি সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬৯৬ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৪০ হাজার ৭৭৯ জন।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের পর ২০২১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তা নিয়ন্ত্রণে আসে। মার্চের শেষে আবার দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানে। সেটি নিয়ন্ত্রণে আসে গত ৪ অক্টোবর।

গত ২১ জানুয়ারি দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ দেখা দেয়। প্রায় তিন মাস পর ১১ মার্চ নিয়ন্ত্রণে আসে। তিন মাস করোনা স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতিতে ছিল। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!