খুলনা, বাংলাদেশ | ১৮ই আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ২০১৮’র রাতের ভোটের দায় স্বীকার করে সাবেক সিইসি নুরুল হুদার জবানবন্দি
  শেখ হাসিনাসহ তিনজনের পক্ষে অভিযোগ গঠনে সময় আবেদন, পরবর্তী শুনানি ৭ জুলাই

নিহত সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ফারুকের মোবাইল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

ফুলতলা প্রতিনিধি

ফুলতলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ফারুক মোল্যা (৫০) খুনের সাড়ে ৩ মাস পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয়েছে। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে ঘটনার সন্দিগ্ধ আসামি শাহাবুদ্দিন আহমেদ শিহাব (২৬) কে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়েছে।

পুলিশ জানায়, সাবেক ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান ফারুক মোল্যা হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এস আই হারুন আর রশিদ মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে অভয়নগরের দিঘীর বাজার এলাকা থেকে সাকিব হাসানকে আটক করেন। এ সময় তার কাছ থেকে অপ্পো এ ৫৮ মোবাইল সেটটি উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সাকিব হাসান বলেন, নওয়াপাড়া পৌর এলাকার পুরাতন মোবাইল ব্যবসায়ী মিঠু জোয়ার্দ্দার ওরফে নোমানের কাছ থেকে ১০হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি মোবাইলটি ক্রয় করে। পুলিশ সাকিবকে সাথে নিয়ে নোমানের মুখোমুখি করে। নোমান ফুলতলার মধ্যডাঙ্গা গ্রামের উকিল শেখের ছেলে শাহাবুদ্দিন আহমেদ ওরফে শিহাব এর নিকট থেকে মোবাইলটি ক্রয় করে। এদিকে বিষয়টি আঁঁচ করতে পেরে শিহাব এলাকা থেকে অন্যত্র পালিয়ে যায়। এস আই হারুন সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টায় নড়াইল সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ঐ এলাকার খবিরের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক মোল্যা হত্যা ঘটনায় নিজেকে আড়াল করে অন্যদের নাম বলে এবং তাদের কাছ থেকে সে মোবাইলটি সংগ্রহের কথা স্বীকার করে।

মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলি আদালত ‘ছ’ অঞ্চলে ফারুক মোল্যার মোবাইল ব্যবহারকারী সাকিব ও নোমানকে হাজির করলে উভয়ে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করে। অপরদিকে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাহাবুদ্দিন আহমেদ শিহাবকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়েছে।

উল্লেখিত গত ১৯ মার্চ ফুলতলার মধ্যডাঙ্গা গ্রামে প্রকাশ্য দিবালোকে ফারুক মোল্যাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ব্যাপারে নিহত ফারুক মোল্যার স্ত্রী মাহফুজা বেগম বাদি হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে। সাড়ে ৩ মাস অতিবাহিত হলেও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শফিকুল ইসলাম কোন আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি। গত মাসে তদন্তকারী কর্মকর্তা বদলী করে নতুন তদন্তকারী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়ার পর এই আসামিকে গ্রেপ্তার হয়।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!