খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আগুন নিয়ন্ত্রণে, খুলনায় পাট গোডাউনসহ ১০ দোকানের কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই
টাইমস অব ইন্ডিয়ার রিপোর্ট

নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার : পদ্মার ইলিশের বিশাল চালান যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে

গেজেট ডেস্ক

রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পর কূটনীতির হাতিয়ার ‘পদ্মার ইলিশের’ বিশাল চালান যাচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মাছপ্রেমীরা এই ইলিশের স্বাদ নিতে পারবেন। এই মৌসুমে তাদের হাতের নাগালে, স্থানীয় বাজারে পাওয়া যাবে এই সুস্বাদু মাছ। ১৪৫০ টন ইলিশের বিশাল চালান নিয়ে এই মাছ এখন বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গ অভিমুখে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া।

খবরে আরো বলা হয়েছে, শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ রপ্তানির ওপর অস্থায়ীভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় বাংলাদেশ সরকার। এর ফলে ২০১১ সালের পর এই রাজ্যের সীমান্ত দিয়ে প্রথমবার বহু মূল্যবান এই মাছের বিশাল চালান সেখানে যাওয়ার পথ সৃষ্টি হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল ২০১২ সালের জুলাইয়ে।

পশ্চিমবঙ্গে ১৭৫ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন পেয়েছে বাংলাদেশের মৎস্য ব্যবসা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সেভেন স্টার ফিশ প্রসেসিং লিমিটেড। এর পরিচালক কাজী আবদুল মান্নান বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ১৪৫০ টন ইলিশ রপ্তানি করতে ৯টি কোম্পানিকে অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ১২ অক্টোবর মাছ ধরা বন্ধ হয়ে যাবে। তার আগেই ১০ অক্টোবরের মধ্যে এই রপ্তানি করতে হবে।

ওদিকে ফিশ ইমপোর্টারস এসোসিয়েশন এবং হাওড়া হোলসেল ফিশ মার্কেটস এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সৈয়দ মাকসুদ আনোয়ার বলেছেন, ইলিশ আমদানিতে অনাপত্তির আবেদন জানিয়ে এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন পাঠানো হয়েছে। সোমবারের মধ্যে আমরা সেই অনুমোদন পাবো। ওদিকে ৬ টন ইলিশ নিয়ে প্রথম ট্রাক পশ্চিমবঙ্গে বুধবার নাগাদ পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ বছর পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ ধরা পড়ছে খুবই কম। এটা বাংলাদেশের চিত্রের ঠিক বিপরীত। বাংলাদেশে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। ফলে দামও কম।

বাংলাদেশের মাছ ব্যবসায়ীরা হাসিনা সরকারের সঙ্গে ইলিশ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য লবিং করেছে। তার ফলে এমনটা সম্ভব হয়েছে। গত বছরও সামান্য ছাড় দিয়েছিল ঢাকা। তখন এটাকে বর্ণনা করা হয়েছিল ‘ইলিশ কূটনীতি’ হিসেবে। ওই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনায় ভারত সফর করেছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সেই সফরের আগে ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।

বাঙালির প্রিয় এই মাছকে অনেক সময়ই কূটনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম দফায় ক্ষমতায় থাকাকালে গঙ্গার পানি বন্টন চুক্তিকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গের তখনকার মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর কাছে ইলিশ পাঠিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিস্তার পানি বন্টন চুক্তির বিরোধিতা করার পর পরই ইলিশ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় হাসিনা সরকার।

এর আগে পশ্চিমবঙ্গ প্রতি বছর ৬০০০ থেকে ৭০০০ টন ইলিশ আমদানি করতো বাংলাদেশ থেকে। এখন বিপুল পরিমাণ ইলিশ পশ্চিমবঙ্গে যাওয়ার ফলে কলকাতায় এর আকাশচুম্বী দাম কিছু কমে আসবে। সেখানে বর্তমানে ‘গঙ্গার ইলিশ’, যার ওজন এক কেজির ওপরে তা প্রতি কেজি ১৭০০ রুপির ওপরে বিক্রি হচ্ছে। এমনকি মিয়ানমার থেকে যাওয়া হিমায়িত ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১২০০ রুপির ওপরে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!