খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪৫৮

নির্যাতন, হামলা-মামলা ও হয়রানি থেকে বাঁচতে চান আরাফাত আবাসিকের বাসিন্দারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নগর সংলগ্ন আরাফাত আবাসিক প্রকল্পে বাসিন্দারা প্রকল্প পরিচালক এস এম আরিফুর রহমান মিঠু, তার ভাই আশফাকুর রহমান রাজিবের চাঁদাবাজি, মামলা ও হয়রানির বিচার দাবি করেছেন। তারা সকল প্রকার নির্যাতন, হামলা, মামলা, ভাঙচুর ও হয়রানি থেকে বাঁচতে চান।

শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে আরাফাত আবাসিক শান্তি শৃঙ্খলা কমিটির কর্মকর্তারা এসব দাবি জানান। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিটির সভাপতি মতিয়ার রহমান।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণ অভ্যুত্থানে হাসিনার দেশ থেকে পালিয়ে গেলে এস,এম আরিফুর রহমান মিঠু’র নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী লুটেরা এলাকায় লুটতরাজ ও ভাংচুর চালায় এবং বিভিন্ন পরিবার ও ব্যক্তিদের নিকট চাঁদা দাবি করে। এছাড়া তাঁর নির্যাতনের শিকার বাকা মোল্লা, মিকাইল মোল্লা, তুহিন মোল্লা, পিয়াস, মোঃ সোহেল আহম্মেদ, আব্দুর রশিদসহ আরো অনেককে আসামী করে হরিণটানা থানায় মিথ্যা মামলা (মামলা নং- ০৮/২০২৪) দায়ের করেছেন তার ম্যানেজার আলাউদ্দিন। এরমধ্যে অনেকে গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে মুক্ত হয়েছেন। আবাসিকের শামীম আহম্মেদ রাজ্জাক ও তার ছেলেকে আওয়ামী ও যুবলীগ নেতা বানিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন।

তিনি বলেন, মিঠু ব শতভাগ রপ্তানীমুখী বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী আরাফাত পলি প্রিন্ট্রিং এন্ড প্যাকেজিং নামে একটি ফ্যাক্টরী পরিচালনা করছেন বলে দাবি করছেন। সেখানে নাকি অসংখ্য বেকারের কর্মসংস্থান হয়েছে। বলেছেন- আরাফাত পেপার মিল চালু করার কার্যক্রম রয়েছে।  যা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। আসল সত্য, আরাফাত পলি প্রিস্ট্রিং এন্ড প্যাকেজিং এর নামে যে কারখানাটি শুরু থেকেই  বন্ধ রয়েছে। সেখানে কর্মসংস্থানের তো প্রশ্নই ওঠে না।

প্রহরীদের মারধর ও সাইনবোর্ড ভাঙচুর, সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে অত্যাচার নির্যাতন ও ভয়- ভীতি হুমকি দেওয়ার মিঠুর অভিযোগ সত্য নয়। উল্টো তার লোকাজন মানুষের ঘর বাড়ি দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।

মতিয়ার রহমান আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে আরাফাত আবাসিক প্রকল্প গঠিত হয়। কিন্তু সেখানে চলাচলের কোন রাস্তা ও প্রকল্প তৈরি করেনি। যদি কোন বাড়িওয়ালা নিজ উদ্যোগে রাস্তা তৈরি করতে উদ্যোগী হন সঙ্গে সঙ্গে প্রকল্পের সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা বাড়িওয়ালাকে নির্যাতন ও কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কেউ নিজ জমি বিক্রি করে তাহলে প্রকল্প পরিচালককে এক লাখ টাকা দিতে হয়। না হলে জমি বিক্রি করা যাবে না। আরাফাত প্রকল্পে বাসিন্দারা এ অবস্থা থেকে মুক্তি চান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর মোঃ মাহমুদুল্লাহ, অধ্যাপক জাকির হোসেন, শামীম আহম্মেদ রাজ্জাক, ডাঃ জাকির হোসেন, ইখতিয়ার হোসাইন শেবা, আসাদুজ্জামান নেছার, মোঃ রুহুল আমীন, আলম গাজী, আব্দুর রশিদ মল্লিক, মোঃ আলম, ফিরোজ আহম্মেদ, আক্তার আহমেদ সুজা, তুহিন মোল্লা, সাইফুল ইসলাম, মেহেদী হাসান প্রমুখ।

খুলনা গেজেট/কেডি

01686553546




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!