নির্বাচন যত দেরি হবে ততই ষড়যন্ত্র হবে। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনই পারে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। সংস্কার টেকসই করতে হলে জনগণের সমর্থন প্রয়োজন। আর সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমেই তা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে জেলা বিএনপির সম্মেলনে প্রধান অতিথির (ভার্চুয়ালি) বক্তব্যে তারেক রহমান এ মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, আজ আমরা সংস্কারের কথা বলছি। অথচ বিএনপি দুই বছর আগে বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে। সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। একজন শুরু করবে বাকিরা চলমান রেখে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। অনেক ব্যক্তি বা সংগঠন সংস্কারের কথা বলছে। অন্তর্বর্তী সরকারও সংস্কারের কথা বলছে। দেশের মানুষের চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পর্যায়ক্রমে সংস্কার পরিবর্তিত হবে।
দীর্ঘ ১৪ বছর পর চুয়াডাঙ্গায় জেলা বিএনপির এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ফ্যসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল বাড়তি উৎসব। তাই সম্মেলনস্থল জনসমুদ্রে পরিণত হয়। সকাল থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে এসে কানায় কানায় ভরে তোলে টাউন ফুটবল মাঠ। তারা স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলে পুরো এলাকা।
সম্মেলনের উদ্বোধক বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ফ্যাসিবাদি আওয়ামী লীগ সরকার যুবলীগ-ছাত্রলীগ, আর রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনীকে ব্যবহার করে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া যে দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, পুলিশকে যেভাবে আওয়ামী লীগ ব্যবহার করেছে, এটা একটা গণতান্ত্রিক দেশে হতে পারে না। সন্ত্রাস আর দুর্নীতি ছাড়া আওয়ামী লীগের কিছু নেই। গণতন্ত্রের প্রশ্নে বিএনপি কখনও আপস করবে না।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু, কুষ্টিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী হাসান রুমি, মেহেরপুরের সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুণ, বিএনপির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সদস্য মিলি, মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলুসহ বিএনপির স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
সম্মেলন সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরিফুজ্জামান শরীফ।
দ্বিতীয় অধিবেশনে ৮০৮ কাউন্সিলর ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত করবেন। ইতোমধ্যে সভাপতি পদে মাহমুদ হাসান খান বাবু বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে দুজন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
খুলনা গেজেট/এএজে