ঝিনাইদহের শৈলকুপার সারুটিয়া ইউনিয়নে নির্বাচনি সহিংসতা আহত আব্দুর রহিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। রাজশাহী মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
নিহত ৬০ বছরের রহিম ওই ইউনিয়নের কৃষ্ণ নগর গ্রামের মৃত খোরশেদ শেখের ছেলে।
এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৯ জনের প্রাণহানির তথ্য মিলেছে। গত জুন থেকে এখন পর্যন্ত পাঁচ ধাপের নির্বাচনের প্রতি ধাপেই প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে সংঘাতে মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের ছেলে বউ প্রেমা খাতুনের অভিযোগ, পঞ্চম ধাপের নির্বাচনের আগে গত ২৩ ডিসেম্বর কাতলাগাড়ী পুরাতন বাজারে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কাইছার টিপুর সমর্থকরা তাকে পিটিয়ে গুরতর আহত করেন। তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক কুষ্টিয়া মেডিক্যালে পাঠান। ছয়দিন আগে তাকে রাজশাহী মেডিক্যালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।’
পঞ্চম ধাপের ভোট শেষে শনিবারা দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। এর আগে চতুর্থ ধাপে তিনজন, তৃতীয় ধাপে অন্তত ১০ জন, দ্বিতীয় ধাপের আগে পরে ১৬ জন ও প্রথম ধাপে সাতজনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।