বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচনে শেখ হাসিনা ইসিকে যে তালিকা ধরিয়ে দেন, সেই তালিকার প্রার্থীদের ভোটগ্রহণ শেষে কমিশনের পক্ষ থেকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এটাই হচ্ছে বর্তমান নির্বাচনের অবস্থা। এ নির্বাচনের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন।
সোমবার (০৩ জুন) বিকেলে সাবেক রাষ্টপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে যশোর জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, গোটা দেশের জনগণ, সব বিরোধী দলগুলোর প্রচন্ড বিরোধিতা এবং আন্তর্জাতিক মহলের অব্যাহত আহ্বান উপেক্ষা করে সরকার এক তরফাভাবে প্রসনের নির্বাচন করার অপরিণামদর্শী আত্মঘাতী খেলায় মেতে উঠেছে। বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার একগুঁয়েমি দেখে অনুমিত হচ্ছে তিনি দেশ এবং জনগণকে ধ্বংস করে তবেই বিদায় নেবেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়নের কথা বলছেন কিন্তু আদৌও কোনো উন্নয়ন করেনি তারা। তারা উন্নত করেছেন আওয়ামী লীগ নেতাদের, এমপি, মন্ত্রী, ঠিকাদারদের। উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে গেছে সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ ও সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদে। বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ভয়ে বাঁশ বাগানে লুকিয়ে থাকলেও তা তারা টের পায়। পুলিশ তাদেরকে ধরে নিয়ে হাজতে ঢুকায়। অথচ কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে যখন সাবেক পুলিশ প্রধান দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়, তখন তা আর পুলিশ দেখে না। এর মানে কি জনগন বোঝে। এগুলো প্রধানমন্ত্রীরও অজানা নয়। যে বেনজির আহমেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসাতে সামনে থেকে কাজ করেছেন। এখন কি এমন হল যে তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন টাকা পয়সার ভাগবাটওয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বেই এখন বেনজিরকে পালিয়ে যেতে হয়েছে। মূলত এ সরকার টাকা ছাড়া কিছুই চেনে না।
তিনি বলেন, রাষ্টপতি জিয়াউর রহমান দেশের জন্য কাজ করেছেন। তিনি টাকার পেছনে ছোটেননি। তিনি দেশের মানুষকে ভালো বেসেছেন বলেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার আদর্শ বুকে নিয়েই আমাদেরকে চলতে হবে। তার আদর্শ মেনে চললেই অবৈধ শেখ হাসিনা সরকারকে বিদায় করা সম্ভব। তিনি প্রত্যেক নেতাকর্মীদের জিয়াউর রহমানের আদর্শকে অনুসরণ করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন যশোর জেলা বিএনপির আহবায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, আবুল কালাম আজাদ ও সাবিরা নাজমুল প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন।
খুলনা গেজেট/কেডি