দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে বাংলাদেশ কংগ্রেসের হয়ে ডাব প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম বলেছেন, ‘আমার দল কংগ্রেস থেকে নির্বাচন করেছি। অন্যান্য দলগুলোকেও সরকার নির্বাচনে নিয়ে এসেছে। প্রতিটা লোককে বলেছে ২ থেকে ৫ টা সিট দেবে। আরেকটি বিষয় এটা কেউ বলেছেন কিনা জানি না। যে কয়েকটি স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়িয়েছে-কংগ্রেস থেকে শুরু করে যে কয়েকটি দল দাঁড়িয়েছে প্রতিটা দলকে সরকার টাকা দিয়েছে। নির্বাচনে খরচের জন্য প্রতিটা দলকে টাকা দিয়েছে। আমার দলকেও টাকা দিয়েছে।’
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর রামপুরায় নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
হিরো আলম বলেন, ‘আমাকে যখন ডাকলো-আলম সরকার থেকে কিছু ফান্ড দিয়েছে। কী কারণে ফান্ড দিয়েছে নির্বাচনে সবাইকে মাঠে থাকতে হবে। আমি জানতে চাইলাম কত টাকা? বলা হলো পোস্টারের জন্য ৩০ হাজার টাকা। আর জামানতের জন্য দিয়েছে। সর্বমোট ৬৫ হাজার টাকা দিয়েছে। আমি বলেছি আমার টাকা লাগবে না।’
টাকা দেওয়ার বিষয়ে প্রমাণ দিতে পারবেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সরকার যে টাকার কথা বলেছে, চাইলে আমি প্রমাণ দিবো।’
রোববার অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৪ ভোটের মধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন ৯৬ হাজার ৬০৮ জন। এর মধ্যে মাত্র ২ হাজার ১৭৫ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম।
এই আসনে ৪২ হাজার ৭৫৭ ভোট পেয়ে তৃতীয়বারের মতো জয় পেয়েছেন নৌকা মার্কার প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল মার্কার জিয়াউল হক মোল্লা পেয়েছেন ৪০ হাজার ৬১৮ ভোট।
এর আগে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন হিরো আলম। পরে অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান তিনি।
খুলনা গেজেট/ এএজে