দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নবগঠিত এবি পার্টি খুলনায় তৎপরতা শুরু করেছে। গত সপ্তাহে কেন্দ্রিয় প্রতিনিধি জেলার ৪টি উপজেলা সফর করেছেন। নিবন্ধন পেলে পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে তৃতীয় শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দাবি নিয়ে মাঠে আছেন। জেলার ২টি আসনে প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করেছে।
কেন্দ্রে এবি পার্টির তৎপরতা শুরু হলেও খুলনায় হয়েছে বেশ দেরিতে। ২০২০-২১ সালে করোনাকালীন অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য ও ঔষধ বিতরণ করে দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এ সময়ে সংগঠনের কর্মীরা পাড়া ও মহল্লায় শীত বস্ত্র বিতরণ করেন। দলকে সাংগঠনিকভাবে গতিশীল করতে সাহিদুল হক মিলনকে সভাপতি, ইমরান হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে নগর কমিটি ও কাজী সাইফুল্লাহকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও আক্তারুজ্জামানকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে। উল্লেখিত ২টি কমিটি সাংগঠনিক তৎপরতা বাড়ানোর জন্য ছোটখাট পরিসরে কর্মী বৈঠকের আয়োজন করেছে। কেন্দ্রিয় যুগ্ম আহবায়ক আনিসুর রহমান কচি ফুলতলা, দিঘলিয়া. ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটা উপজেলা সফর করেছেন।
তিনি খুলনা গেজেটকে জানান, নিবন্ধন পেলে নিজস্ব প্রতিক নিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। তবে এক্ষেত্রে নির্ভর করছে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পরিবেশ সৃষ্টি করা। বিএনপি বা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন কোন জোটের সাথে নির্বাচনী ঐক্য করতে তারা রাজি নয়। তৃতীয় জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাথে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। এ জোটে তারা কয়েকটি বাম দলের অর্ন্তভুক্তি আশা করেন।
দলের সূত্র বলেছে, খুলনা-২ (সদর ও সোনাডাঙ্গা) আসন থেকে কেন্দ্রিয় যুগ্ম আহবায়ক আনিসুর রহমান কচি দলের প্রার্থী হবেন। তিনি ৯০ এর দশকে ছাত্র ইউনিয়নের খুলনা শহর শাখার সভাপতি ও এরশাদের সামরিক শাসন বিরোধী ছাত্র জোট ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ, খুলনা জেলা কমিটির সদস্য ছিলেন। কিছুদিন কমিউনিষ্ট আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। খুলনা ৫ আসনের প্রার্থী ফুলতলা উপজেলার অধিবাসি গাজী সাইফুল্লাহ। তিনি একসময়ে ছাত্র শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এসজেড/এমএম