যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনিই প্রার্থী হিসেবে লড়বেন। তিনি দলের মনোনীত প্রার্থী। তাঁকে কেউ বাইরে ঠেলে দিচ্ছে না। তিনি নিজেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে কোথাও সরে যাচ্ছেন না।
স্থানীয় সময় বুধবার ডেমোক্রেটিক দলের নির্বাচনী প্রচারাভিযানে থাকা কিছু কর্তা ব্যক্তির সঙ্গে এক ফোনকলে এসব কথা বলেন বাইডেন। তাঁর প্রার্থিতা নিয়ে উদ্বেগে থাকা ব্যক্তিদের বাইডেন ওই ফোনকলে যুক্ত করেছিলেন বলে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্র জানিয়েছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে গত বৃহস্পতিবারের বিতর্কে ধরাশায়ী হওয়ার পর থেকে আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যেতে বাইডেনের ওপর চাপ ক্রমে বাড়ছে। এমনকি নিজের দল ডেমোক্রেটিক পার্টির ভেতর থেকেও চাপের মুখে পড়েছেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতেই বাইডেনের এই ফোনকল।
সূত্রগুলো জানায়, কথা বলার সময় বাইডেন বলেন, ‘আমিই নির্বাচনে লড়ছি।’ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নির্বাচনী দৌঁড় থেকে কেউ তাঁকে বাইরে ঠেলে দিচ্ছে না। তিনি দলের মনোনীত প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।
এদিকে দলের অভ্যন্তরীণ এমন চাপের মুখে বাইডেন পদত্যাগ করতে পারেন— এমন একটি আলোচনা চাউর হয়েছিল। তবে বুধবার এক প্রশ্নের জবাবে বিষয়টি নাকচ করে দিয়েছেন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি কারিন জন-পিয়ের। তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল বাইডেন পদত্যাগের বিষয়টি বিবেচনা করবেন কি না? জবাবে কারিন বলেন, ‘অবশ্যই, না’।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টায় সিএনএনের স্টুডিওতে ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। এই বিতর্কে মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী (৮১ বছর) প্রেসিডেন্ট বাইডেন ছিলেন বেশ নিষ্প্রভ। ট্রাম্পের বাক্যবাণে প্রথম দিকে অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি।
এরপরই ডেমোক্রেটিক পার্টির অনেকেই মনে করছেন, দলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জো বাইডেনের আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উচিত হবে না। তাঁদের মধ্যে দলের অনেক দাতাদের পাশাপাশি কংগ্রেস সদস্যরাও রয়েছেন। হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভের ডেমোক্রেটিক পার্টির এক সদস্য সংবাদমাধ্যমকে জানান, কয়েক দিনের মধ্যে তাঁর দলের ২৫ জন কংগ্রেস সদস্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যেতে বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। রয়টার্স/ইপসসের জরিপের ফল বলছে, ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রতি তিনজনের একজন মনে করেন, বাইডেনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে আসা উচিত।
খুলনা গেজেট/এইচ