সারাদেশে মামলা, হামলা ও গ্রেপ্তার করে আন্দোলন থামানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এসময় সারাদেশে সর্বাত্মক ৭২ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান তিনি। সোমবার সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেছেন, নির্বাচনী মাঠ শূন্য করার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় ক্যাডাররা বিএনপির ২৮শে অক্টোবরের মহাসমাবেশে ন্যক্কারজনক হামলা চালায়। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন তাদের কাছে ঘৃণার বস্তু। তাই রাষ্ট্রশক্তিকে করায়ত্ব করে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করে রক্তগঙ্গা বইয়ে দিয়ে হলেও তারা ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়।
তিনি বলেন, মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত ৪/৫ দিন থেকে শুরু হয়েছে পাইকারি হারে গ্রেপ্তার। গতকাল হরতালের দিনপর্যন্ত কয়েক হাজারে ঠেকেছে। আওয়ামী লীগ কখনোই যুক্তির শক্তিকে মানে না। অসংখ্য লাশের ওপর দিয়ে হলেও তারা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চায়। গত ২৮ তারিখে মহাসমাবেশ ছিলো অন্যান্য দাবির মধ্যে সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের দাবি।
সেই কারণেই সমাবেশ পণ্ড করতে রক্তাক্ত-পন্থা অবলম্বন করা হয়। একচ্ছত্র ক্ষমতা চিরদিনের জন্য আঁকড়ে রাখতে জনগণকে নির্বাক দেখতে চায়। এজন্য তারা ভাষার শক্তিকে হরণ করেছে। ভাষা তথা কথা বলার স্বাধীনতা এখন সম্পূর্ণরূপে হরণ করা হচ্ছে। দেশ এখন ক্রমান্বয়ে প্রভু ও দাসের রেখা দ্বারা বিচ্ছিন্ন। এখানে ব্যক্তির স্বয়ংসম্পূর্ণতা হওয়া সম্ভব নয়।
রিজভী বলেন, এখানে কঠোর কর্তৃত্ববাদের প্রভু শেখ হাসিনা গোটা দেশকে পরাধীন করেছে। এই পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙতে জনগণ এখন দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। আদর্শ ও ন্যায়ের সংগ্রাম কখনো পরাজিত হয় না।
চক্রান্তকারী নিষ্ঠুর আওয়ামী সরকারের পতন অত্যাসন্ন। গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে প্রেরণ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে চলমান আন্দোলন, মামলা, হামলা ও গ্রেপ্তার দিয়ে কখনোই থামানো যাবে না। তিনি বলেন, মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ২৩শে অক্টোবর থেকে ২৮শে অক্টোবর পর্যন্ত ৫ দিনে মোট গ্রেফতার করা হয়েছে ২৬৪০ জনের অধিক নেতাকর্মীকে। এছাড়া মিথ্যা মামলা হয়েছে ৪৫টি।
খুলনা গেজেট/ টিএ