খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  অ্যান্টিগা টেস্ট: ৪৫০ রানে ইনিংস ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজের, দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ ৪০/২

নির্বাচকের দায়িত্ব পেয়ে যা বললেন লিপু-হান্নান

ক্রীড়া প্রতিবেদক

লম্বা সময় ধরে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচক হিসেবে কাজ করে আসছেন মিনহাজুল আবেদিন নান্নু, হাবিবুল বাশার সুমন ও আব্দুর রাজ্জাক। যেখানে প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন নান্নু। সোমবারের বোর্ড মিটিংয়ে নান্নুকে অব্যাহতি দিয়েছে বিসিবি। নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিসিবির সাবেক পরিচালক গাজী আশরাফ হোসেন লিপুকে।

মিনহাজুল আবেদিন নান্নু বাদ যাচ্ছেন, অনেকটা অনুমেয়ই ছিল। তবে মোটেও আলোচনায় ছিলেন না আশরাফ লিপু। একেবারেই আলোচনার বাইরে থেকে এসে প্রধান নির্বাচকের পদ বাগিয়ে নিয়েছেন তিনি। যেখানে তার সাথে আছেন হান্নান সরকার ও আব্দুর রাজ্জাক।

গাজী আশরাফ বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে জড়িয়ে আছেন ওতপ্রোতভাবে। বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে অধিনায়ক তিনি। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে বিভিন্ন সময়ে তিনি বিসিবির পরিচালক, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান এবং বিপিএল গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেছেন। ছিলেন ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জয়ী বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার পদেও। নির্বাচিত পরিচালক হয়ে কাজ করেছেন ২০১২ সাল পর্যন্ত। যদিও পরবর্তী সময়ে নাজমুল হাসান পাপনের কমিটিতে জায়গা হয়নি তার। খালেদ মাহমুদ সুজন নিয়েছেন সে জায়গা। এক যুগ হলো বিসিবিতে নেই তিনি।

বিপিএল, বিসিএল প্রবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা লিপু নিজের নতুন ভূমিকা সম্পর্কে বলেন, ‘আমি আনন্দিত, অভিভূত। জাতীয় দল নির্বাচক প্যানেল অত্যন্ত দায়িত্বশীল একটি জায়গা। প্রধান নির্বাচকের পদটি আরও গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচক প্যানেলের সব সদস্যকে নিয়ে ভালো কাজ করার চেষ্টা করব।’

লিপুর কমিটিতে পুরোনোদের মধ্যে রয়েছেন আব্দুর রাজ্জাক। জাতীয় দলের বাঁহাতি এ স্পিনার এক বছর হলো নির্বাচক হিসেবে কাজ করছেন। তিন সদস্যের প্যানেলের আরেকজন হলেন হান্নান সরকার। ২০১৫ সাল থেকে বিসিবির জুনিয়র নির্বাচক হিসেবে কাজ করছেন তিনি।

জাতীয় দলের সাবেক এ ক্রিকেটার প্রমোশন পেয়ে খুশি, ‘আট বছর হলো বিসিবিতে কাজ করছি। সবাই তো একটা প্রমোশন চায়। আমাকে জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলের সদস্য মনোনীত করায় অত্যন্ত খুশি। বিসিবি সভাপতি পাপন ভাইকে ধন্যবাদ। আমার নিয়োগের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা আছে। আমি চেষ্টা করব, নিজের দায়িত্ব নিরলসভাবে পালন করতে। বয়সভিত্তিক দলের সঙ্গে দীর্ঘদিন কাজ করায় ক্রিকেটারদের সম্পর্কে জানাশোনা আছে। বর্তমান জাতীয় দলের অনেকে এবং পাইপলাইনের খেলোয়াড়রা বয়সভিত্তিক দল থেকেই উঠে এসেছে। আমি চেষ্টা করব, নিজের সুচিন্তিত মতামত দিয়ে অবদান রাখতে।’

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!