খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)” শীর্ষক প্রকল্পের আওতাধীন চলমান উন্নয়ন কাজের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সদস্যবৃন্দ।
২৩ ডিসেম্বর (শনিবার) সকালে কমিটির সদস্যবৃন্দ প্রকল্পের আওতাধীন চলমান বিভিন্ন ভৌত-অবকাঠামোর কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
পরে বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ তাজউদ্দিন আহমদ ভবনের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে পিআইসির ১০ম সভা অনুষ্ঠিত হয়। পিআইসি’র সভাপতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রকল্পের অগ্রগতি বস্তবায়ন অগ্রগতি এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্ভূত সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধানের প্রয়োজনীয় সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সভার শুরুতে প্রকল্পের পরিচিতি, প্রকল্পের উদ্দেশ্য, অগ্রগতি এবং অঙ্গভিত্তিক বাস্তবায়ন অগ্রগতি পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. মো. হাসানুজ্জামান। সভায় সার্বিক অগ্রগতি পর্যালোচনা করে সন্তোষ প্রকাশ করেন সদস্যবৃন্দ। এসময় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। এছাড়া সোলার প্যানেল থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ব্যবহার ও এর রক্ষণাবেক্ষণ বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয়।
সভায় উপাচার্য বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি ভবনের ছাদে ২১৬টি সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। এর থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার ১২ শতাংশ পূরণে সক্ষম হচ্ছে। আগামীতে অন্যান্য ভবনের ছাদে সোলার প্যানেল স্থাপন করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা মিটবে সৌর বিদ্যুৎ থেকে। তিনি আরও বলেন, এই সোলার প্যানেল স্থাপনের ফলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৬ মাস ধরে প্রতিমাসে প্রায় এক লাখ টাকা করে বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় এবং ১৮ টন কার্বন নিঃসরণ কমানো সম্ভব হয়েছে। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান্ট বাস্তবায়ন এবং প্রায় ২ হাজার ৫ শত গাছের চারা রোপণের মাধ্যমে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে গ্রিন-ক্লিন হিসেবে গড়ে তোলার যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল- তা ইতোমধ্যে ফলপ্রসূ হয়েছে।
উপাচার্য বলেন, এই প্রকল্পের আওতাধীন উন্নয়ন কাজগুলো এখন শেষ পর্যায়ে। তিনি এই প্রকল্পের শুরু থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদানের জন্য পিআইসির সংশ্লিষ্ট সদস্যদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান এবং প্রকল্পের কাজ আরও ত্বরান্বিত করে নির্ধারিত মেয়াদে কাজ শেষ করতে প্রতিনিধি দলের সহায়তা কামনা করেন।
সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ জহুরুল ইসলাম, ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের উপপ্রধান (শিক্ষা উইং) নাজিয়া ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব (পরিকল্পনা শাখা) আহমেদ শিবলী, ইউজিসির ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপ-পরিচালক শিবানন্দ শীল, ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক আকরাম আলী খান উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট প্রকল্প তদারকি কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. খো. মাহফুজ-উদ-দারাইন, পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের মাল্টিসেক্টরাল ইস্যুজ ও সমন্বয় অনুবিভাগের উপ-প্রধান নাহিদ ফারজানা সিদ্দিকী, একনেক শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব স্নিগ্ধা তালুকদারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত থেকে আলোচনা করেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট প্রকল্প তদারকি কমিটির সদস্য প্রফেসর ড. লস্কর এরশাদ আলী, সহকারী অধ্যাপক মাহমুদ-উজ-জামান, প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) এস এম মনিরুজ্জামান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) খায়রুল বাশারসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল ১১.৪৫ মিনিটে নামফলক উন্মোচনের মাধ্যমে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব মুহাম্মদ জহুরুল ইসলাম, ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের উপপ্রধান (শিক্ষা উইং) নাজিয়া ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব (পরিকল্পনা শাখা) আহমেদ শিবলী, ইউজিসির ইউজিসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপ-পরিচালক শিবানন্দ শীল, ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক আকরাম আলী খানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে উপাচার্যসহ প্রতিনিধিদের সদস্যবৃন্দ শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসনিক ভবনের ছাদে স্থাপিত সোলার প্যানেল পরিদর্শন করেন।
খুলনা গেজেট/কেডি