খুলনায় ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে খোলা চিনি। আর পাড়া মহল্লার দোকানগুলোতে এর থেকে ২টাকা বেশি। অথচ কেজিতে ১৬ টাকা বাড়িয়ে সরকার ১২০ টাকা নির্ধারণ করলেও তা কেউ মানছে না।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম নিয়ন্ত্রক মোছা. শামীমা আকতার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাজারে চিনির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ বজায় রাখা, সাধারণ ভোক্তার ক্রয় ক্ষমতা ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থ বিবেচনায় বিটিটিসি কর্তৃক প্রতি কেজি পরিশোধিত চিনি (খোলা) মিলগেট মূল্য ১১৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১১৭ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১২০ টাকা এবং প্রতি কেজি পরিশোধিত চিনি (প্যাকেট) মিলগেট ১১৯ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১২১ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু বাজারে গিয়ে দেখা যায় চিত্র ভিন্ন। ব্যবসায়ীরা প্রতিকেজি খোলা চিনি ১৪০ টাকায় আর প্যাকেটজাত চিনি ১৪৫ টাকায় বিক্রি করছেন। ব্যবসায়ীরা দাম বৃদ্ধির জন্য চিনির সংকটকে দায়ি করেছেন।
বড় বাজারের চিনির ব্যবসায়ী মো: শাহা আলম মৃধা খুলনা গেজেটকে বলেন, ঈদের আগ থেকে চিনির দাম বাড়তে শুরু করেছে। সে সময়ে প্রতিবস্তা (৫০ কেজি) দাম ছিল ৩০০০ টাকা। বর্তমানে একই পরিমাণ তাকে কিনতে হচ্ছে ৬৪০০ টাকায়। বেশী দামে পণ্য কিনে কম দামে বিক্রি করা সম্ভব নয়।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একই বাজারের অপর ব্যবসায়ী বলেন, দেশের চিনির সংকটের জন্য মূলত মিল মালিকরাই দায়ি। তাদের কারিসাজিতে চলছে দাম বৃদ্ধির খেলা। তারা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে একের পর এক চিনির দাম বাড়িয়ে চলেছে।
তিনি বলেন, সরকার যে দর নির্ধারণ করে দিয়েছে তার থেকে বেশি দরে চিনি কিনতে হচ্ছে। বেশি দরে কিনে কম দরে বিক্রি করলে মূলত আমাদের ক্ষতি হবে। তিনি সরকারকে পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে চিনি আমদানির কথা বলছেন।
দোলখোলা বাজারের হক স্টোরের মালিক জানান, মিডিয়ার মাধ্যমে তিনি চিনির দাম বৃদ্ধির বিষয়টি জানতে পেরেছেন। তিনি ১৪০ টাকায় এ পণ্যটি বিক্রি করছেন। যেহেতু বেশি টাকায় মাল কিনে কম দামে বিক্রি করা যাবেনা বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
নগরীর বাবু খান রোডের রহমাত স্টোরে চিনি কিনতে আসা তাজিন আহমেদ বলেন, দেশে ক্রমাগত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়ে চলেছে। সরকার দাম কমানোর ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় দেশের এ অবস্থা। চিনির ক্ষেত্রে সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও ব্যবসায়ীরা বর্ধিত দরে বিক্রি করছেন।
তিনি আরও বলেন, দাম নিয়ন্ত্রেণের জন্য সরকারি যে সংস্থা রয়েছে তাদের কার্যক্রম চেখে পড়ার মতো নয়।
রূপসা বাজারে কথা হয় জাহিদ নামে একজন ক্রেতার সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, বাজারে দাম কম আছে বলে এমন কোন জিনিস নেই। একবার বেড়ে গেলে আর কমতে চায়না। দ্রব্যমূল্য এভাবে বাড়তে থাকলে আমাদের মতো মধ্যবিত্তের বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়বে।
খুলনা গেজেট/কেডি