বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্বে জন্ম নেওয়া নিম্নচাপ দক্ষিণ আন্দামান সাগরের দিকে এগোচ্ছে। ভারতের আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, তা পূর্ব-উত্তরপূর্বে যাত্রা অব্যাহত রাখবে এবং ১৯ মার্চ দক্ষিণ আন্দামান সাগরে পৌঁছবে। ২০ মার্চ সকালের মধ্যে তা সুস্পষ্ট নিম্নচাপ হয়ে উঠবে। ২১ মার্চ, সোমবার তা ঘূর্ণিঝড়ের আকার নেবে। এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘অশনি’।
সোমবার ‘অশনি’ আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের উপর দিয়ে যাত্রা শুরু করবে বাংলাদেশ ও উত্তর মায়ানমারের দিকে। মঙ্গলবার নাগাদ ওই ভূখণ্ডে প্রবেশ করবে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত ‘অশনি’র কোনও প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া অফিস বলছে, বসন্তের আবহ মিলিয়ে গিয়ে পুরোমাত্রায় গরম পড়বে। ভোর বা রাতের দিকে যে শিরশিরে অনুভূতি টের পাওয়া যাচ্ছে, তা-ও শেষ হবে। বাতাসে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প প্রবেশ করায় অস্বস্তি বাড়বে।
সাম্প্রতিক কালে এপ্রিলের আগে বঙ্গোপসাগরে কোনও ঘূর্ণিঝড় বা সাইক্লোন তৈরি হয়নি। কিন্তু এ বার মধ্য মার্চেই ঘূর্ণিঝড় আসার সতর্কবার্তা দিল আবহাওয়া অফিস। তিন দিন মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা লঘুচাপটি আগামীকাল শনিবার আরও সুস্পষ্ট হতে পারে। ২০ মার্চের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়ে আগামী সপ্তাহে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
আবহওয়াবিদ ড. মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান বলেন, লঘুচাপটি এখনো দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আগামীকাল শনিবার সকাল ৯টার মধ্যে এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হতে পারে। একই সঙ্গে ২০ মার্চের মধ্যে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হতে পারে।
তবে ঘূর্ণিঝড় কোনদিকে আঘাত হানবে তা এখনো স্পষ্ট নয়। ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে সেটা জানা যাবে। তবে এটি বাংলাদেশ-মিয়ানমারের উপকূলে আঘাত হানার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জনান এই আবহাওয়াবিদ।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এ সময় আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
খুলনা গেজেট/ এস আই