উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আজ বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৭৫ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চমে, পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫০৫ কি.মি দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৬০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৪৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। গভীর নিম্নচাপে সাগর উত্তাল থাকায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে- মংলা, পায়রা, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরসমূহকে চার (৪নং) নম্বর হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার সর্বশেষ ২নং বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কি.মি পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটে সাগর উত্তাল রয়েছে। মংলা, পায়রা, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরসমূহকে চার (৪নং) নম্বর হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে আহবান জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সাথে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এদিকে, নিম্নচাপের প্রভাবে খুলনায় বৃহস্পতিবার দিনভর গুড়িগুড়ি বৃষ্টি হয়েছে। মহানগরীর নিম্ন স্থানে জমেছে পানি। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা ৪৫ মিনিট থেকে বিকেল পর্যন্ত খুলনায় ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আরও দু/একদিন বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ মোঃ আমিরুল আজাদ জানান, নিম্নচাপের প্রভাবে বৃষ্টিপাত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা ৪৫ মিনিট থেকে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত ৩৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এই অবস্থা শুক্র, শনি ও রবিবারও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে, অবিরাম বৃষ্টিতে মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় মানুষের চলাচলে বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। টানা বৃষ্টিতে মহানগরীর শান্তিধাম মোড়, শামসুর রহমান রোড, রয়েলের মোড়, পিটিআই, নিরালা, বাগমারা, মিস্ত্রিপাড়া, শিববাড়ী, কেডিএ এভিনিউ, খানজাহান আলী রোড, খালিশপুর, দৌলতপুর, রূপসা স্ট্যান্ড রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমেছিল।
খুলনা গেজেট/এআইএন