হে মহামায়া মা তুমি এসেছিলে
আবার চলেও গেলে !
ক্ষণিকের তরে এসেছিলে মাগো
এই ভবের মাঝে আমাদের দ্বারে।।
তোমার আগমনে জননী আনন্দ ধারায়
আমরা উৎসবে মেতেছিলাম কয়দিন !
আশ্রিত হয়ে তোমার চরণ যুগলে
ছিলাম আমরা পাপী-তাপী দ্বীন হীন।।
আগমনীর সুরে শারদীয় লগনে
ষষ্ঠীতে করেছি অকাল বোধন
সপ্তমী অষ্টমী নবমী করেছি মহাপূজা !
দশমীতে হলো তোমার পূজা সমাপন।।
তোমার মহিমা রাশি ঝরেছে ফল্গুধারায়
আমাদের শিরে কল্যানে বারংবার !
এক তমোচ্ছান্ন ঘোরে ছিলাম খুশিতে
মাগো ! তুমি যে আমার ! আমার !!
নিত্য হে শিবানী ! তোমার পাবো করুণা
পূজবো তোমার রাতুল চরণ যুগল !
রক্তজবা আর ফলে ফুলে মাগো
অঞ্জলি দেবো তোমারে দু’নয়নের জল।।
তুমি চলে গেলে হে হর-পার্বতী !
মাতৃহারা শিশুর মতো আমারে ফেলে
হে দূর্গতিনাশিনী ! হে বিধাতা ! অসুরদলনী মাতা
কেঁদে মরি মা মা বলে দু’নয়নের জলে।।
নিত্য যদি থাকতে তুমি দূর্গা মা !
আকিঞ্চন শারদীয় এ উৎসবের মতো
তোমার সন্তানেরা থাকতো হাসি আনন্দে
নিত্য হতো তোমার পূজা অঞ্জলি ব্রত।
খুলনা গেজেট/ এস আই