রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিকসহ ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর ছাত্রীর বাবা। এরপর রাতেই এ ঘটনায় প্রধান আসামি মিঠুনসহ (২৮) তিনজনকে আটক করা হয়।
স্কুলছাত্রীর পরিবার ও পুলিশ জানিয়েছে, উপজেলার কাজীপাড়া দামোদরপুর এলাকার দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিলো বদরগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর আদর্শপাড়া গ্রামের মোজাম্মেল হক মোজার ছেলে মিঠুন মিয়ার সঙ্গে।
গত ৭ ডিসেম্বর ছাত্রীর পরিবারের লোকজন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ স্বজনকে দেখতে যান। এই সুযোগে প্রেমিক মিঠুন মিয়া তার তিন সহপাঠীকে নিয়ে সন্ধ্যার পর কাজীপাড়ায় ওই ছাত্রীর বাড়িতে আসে।
রাত ৯টা দিকে ছাত্রীকে অনেক গোপন কথা আছে বলে নির্জন স্থানে নিয়ে মিঠুন ও তার চার সহযোগী গণধর্ষণ করে। এসময় ওই ছাত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করলেও ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে প্রেমিকসহ অন্যরা।
এদিকে গুরুতর অসুস্থ ওই স্কুলছাত্রীকে প্রথমে তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়াতে পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
বর্তমানে সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। এ ঘটনায় বিভিন্নস্থানে অভিযোন চালিয়ে মূলহোতা মিঠুন মিয়াসহ তিনজনকে শুক্রবার সন্ধ্যায় গ্রেফতার করেন।
এ ব্যপারে তারাগঞ্জ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন বলেন, স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মূলহোতা প্রেমিক মিঠুনসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট /এমএম