বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) আপগ্রেডশেনের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীরা। পরে দীর্ঘ আলোচনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে তারা দপ্তর ত্যাগ করেন।
সোমবার (০১ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় রেজিস্ট্রারের দপ্তরে অবস্থান নিয়ে তারা নতুন নীতিমালা অনুযায়ী আপগ্রেডেশনের জন্য বাছাই বোর্ড আয়োজনের এই দাবি জানিয়ে রেজিস্ট্রারকে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা একপ্রকার অমান্য করে উপাচার্য গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে কর্মচারীদের সংশোধিত নীতিমালা সিন্ডিকেটে অনুমোদন করলে জটিলতার সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আলমগীর চৌধুরীর দপ্তরে অবস্থান নিয়ে তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আলমগীর চৌধুরীর দপ্তরে অবস্থান নিয়ে তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা।
পরে প্রায় চার ঘণ্টার দীর্ঘ আলোচনা শেষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আপগ্রেডেশন দেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করলে কর্মচারীরা রেজিস্ট্রারের দপ্তর ত্যাগ করেন বলে জানান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জমশেদ আলমগীর।
এ বিষয়ে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. নূর আলম মিয়া বলেন, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আপগ্রেডেশনের জন্য বাছাই বোর্ড আয়োজনের দাবি নিয়ে আমরা রেজিস্ট্রার স্যারের দপ্তরে অবস্থান নিই। পরে বেশ কয়েক ঘণ্টা আলোচনার পর তারা ১৮ জুলাই পর্যন্ত অগ্রায়নের আবেদন এবং ১৯-২৫ জুলাই পর্যন্ত আবেদনকারীদের তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের সময় নির্ধারণ করে বোর্ড আয়োজনের বিষয়ে পরে জানানো হবে বলে আশ্বস্ত করেন।
পরে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আলমগীর চৌধুরী বলেন, কর্মচারীরা যে আপগ্রেডেশনের জন্য বাছাই বোর্ড সভা আয়োজনের দাবি নিয়ে এখানে এসেছিলেন সে বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছেছি আমরা। এ ক্ষেত্রে আমরা তাদেরকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অগ্রায়নের জন্য আবেদন করতে বলেছি। ওই আবেদনপত্রসমূহ যাচাই-বাছাই করে পরবর্তীতে বাছাই বোর্ডে সুপারিশ করা হবে।
খুলনা গেজেট /কেডি